আগরতলা : পুরভোটে বেনিয়মের ছবি। সকাল থেকেই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে সিপিএমের তরফেও বিজেপির বিরুদ্ধে অবাধে ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এবিপি আনন্দ সেইসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই না করলেও, আমাদের ক্যামেরার সামনে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টরা।
আগরতলায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বুথে ভোটার থাকা সত্ত্বেও আরেকজন জোর করে ভোট দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবি।
একজনের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন অন্যজন! আগরতলা পুরভোটে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল! ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পোস্টে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে, দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা ভোট দেওয়ার জন্য EVM’র কাছে যেতেই, পাশ থেকে চলে এলেন কোলো টি-সার্ট পরা এক যুবক! মহিলা, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই, পিচবোর্ডের গার্ডওয়ালের উপর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে EVM’র বোতাম টিপে দেন এই যুবক! এরপর, যিনি ভিডিওটি করছিলেন তিনি ভোট দিতে যান। তখনও EVM’র সামনে চলে আসেন এই যুবক!!
বিলোনিয়ায় অবাধে ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ সিপিএমের। ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ বামেদের। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার অভিযোগ তুলে এসডিএম অফিস ঘেরাও করেন সিপিএম কর্মীরা। সেই ভিডিও শেয়ার করেছে ত্রিপুরা সিপিএম।
অন্যদিকে, আগরতলা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের বাইরে লোক জড়ো করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। অন্যদিকে, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মহারানি তুলসিবতী স্কুলের সামনে জমায়েত হঠান এসডিপিও।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ত্রিপুরা পুরভোট। নানা জায়গায় টুকরো অশান্তির আঁচ। অভিযোগ আসছে সে-রাজ্যের বিরোধীদের তরফে। মক পোলের সময় তৃণমূল প্রার্থীর দুই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুরভোটে আগের রাতেই প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ । অন্যদিকে আবার সিপিএমের অভিযোগ, বিলোনিয়ায় অবাধে ছাপ্পা ও বুথ দখল করা চলছে। দুই দলেরই অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
অন্যদিকে ফের নাম না করে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণ শানালেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। আগরতলা পুরসভার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থীর পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করে বললেন, ভয় দেখিয়ে ভোট না করলেও পারতেন।