আগরতলা: ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় (Tripura)পুরভোট। তার আগে বাম প্রার্থীর (Left Candidate) বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ভাঙচুরের পর বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ! বাম প্রার্থীর অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
যদিও এই কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি রাজ্যের শাসক দল। 'এ ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না দল', বলে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
গত সেপ্টেম্বরেও পরপর সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন, ভাঙচুর চালানোর অভযোগ ওঠে। বাদ যায়নি রাজ্যের সদর দফতরও। হামলার অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধেই। পাল্টা সিপিএমের পার্টি অফিস থেকে বোমাবাজির অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির।
শুধু বামেদের তরফেই অভিযোগ নয়, শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে হামলার অভিযোগ করেছেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীও। হামলার অভিযোগে থানায় গিয়ে নালিশ জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজিত দাস।
আরও দেখুন : আগে ছিল ত্রিপুরায় সিপিএমের হার্মাদ, এখন বসে আছে বিজেপির উন্মাদ : অভিষেক
গত ৩ নভেম্বর, ৫১টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল। একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূলের (TMC) ৫১ জন প্রার্থী। পুরভোটে তাদের মোট প্রার্থীর ৫০ শতাংশ মহিলা। এরমধ্যে রামনগরের বিজেপি বিধায়ক সুরজিৎ দত্তর ভাই তপন দত্তও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন।
২৫ নভেম্বর পুরভোট হবে ত্রিপুরায়। আগরতলা পুরনিগমের পাশাপাশি ১৩টি পুর পরিষদ ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট হবে। ভোটগ্রহণ হবে ১৮টি মহকুমার মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডে। তার আগে তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ ওঠে গত মাসের শেষেও। আমতলি বাজারে প্রচার গাড়ি ভাঙচুর হয়। ওঠে মারধরের অভিযোগও। আহত হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পশ্চিম ত্রিপুরার আমতালি বাজারে সেই গাড়ি পৌঁছতেই হামলা চালায় বিজেপি। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় গাড়ি।
যদিও এই অভিযোগও উড়িয়ে দেয় বিজেপি। সাম্প্রতিককালে বারবার তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথে উত্তাল হয়েছে ত্রিপুরা।
এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিপুরায় ২৮ নভেম্বর পুরভোটের ফল ঘোষণা হবে।