আগরতলা : বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আগেই রক্ষে। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের চপারে যান্ত্রিক ত্রুটি। শনিবার সকালে আগরতলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, ত্রিপুরারই চাঁদিপুর এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল বিপ্লব দেবের। সেই মর্মে আজ সকালে অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে উঠে বসেন। কিন্তু, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টেকঅফ করা যায়নি। পাইলট বিষয়টি বুঝতে পারেন। চপারে প্রেসার-সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে বলেও জানানো হয়। সেই কারণে টেকঅফ সম্ভব হচ্ছে না হেলিকপ্টারের।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের এক বছর আগেই বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় নাটকীয় মোড় দেখা গেছে দিনকয়েক আগে। আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। মেয়াদ শেষের ১০ মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তাঁর জায়গায় ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক সাহা। তাঁর শপথ ঘিরে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় বিজেপিতে বিভাজন। মানিক সাহার শপথে গরহাজির ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী, কারামন্ত্রী ও একাধিক বিধায়ক।
অর্থাত্ ২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে নতুন মুখকে সামনে রেখেই ভোটে লড়তে চলেছে বিজেপি। ৪ বছর আগে শূন্য থেকে শুরু করে ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনকে হটিয়েছিল বিজেপি। বাম আমলের মানিক সরকারকে সরিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির বিপ্লব দেব। ৪ বছরের কিছু বেশি সময় সরকার চালানোর পর সেই বিপ্লব দেবই, শনিবার আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।
এনিয়ে তিনি বলেন, আশা করি আমাকে যে যে দায়িত্বগুলি দেওয়া হয়েছে, পার্টির সভাপতি হোক বা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। এখন পার্টি চাইছে সামনে ২০২৩-এ ভোট আছে। তার জন্য সংগঠনের দায়িত্ববান কার্যকর্তাকে নিয়ে আসার জন্য। স্বাভাবিকভাবে সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে।