নয়াদিল্লি : একের পর এক সংঘাতের জের। অপসারণ করা হল ট্যুইটার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীকে। মার্কিন মাইক্রোব্লগিং তথা সোশ্যাল সাইটের হেড অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। ভারত সরকারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সংঘাতের পর কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধী সহ ৬ জন কংগ্রেস নেতার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সংস্থার পক্ষ থেকে গতকাল ব্লক করে দেওয়ার পরই চরমে ওঠে রাজনৈতিক সংঘাত। যার পরই এদিন সংস্থার ভারতীয় প্রধানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল ট্যুইটার।


গত জুন মাস থেকেই বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মনীশের নাম। মনীশ ও ট্যুইটার সংস্থার বিরুদ্ধে সেখানকার পুলিশ পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। প্রথমে জুনে গাজিয়াবাদ পুলিশ তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল।  যার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মনীশ দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্ণাটক হাই কোর্টের। যেখানে মহামান্য আদালত গাজিয়াবাদ পুলিশকে অর্ন্তবর্তী আদেশ দিয়েছিল কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্য। সেই ইস্যুতে স্বস্তি পেলেও বারবার কেন্দরীয় সরকারের সঙ্গে ভারতে ট্যুইটার চালানো ঘিরে পলিসি সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। মাঝে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক বা ভেরিফিকেশন চলে যাওয়া ঘিরেও জলঘোলা হয়।


তবে সংঘাতের আবহ চরমে পৌঁছয় গতকাল। কংগ্রেসের অফিসিয়াল হ্যান্ডল, রাহুল গাঁধী সহ কংগ্রেসের ৬ নেতার অ্যাকাউন্ট লক করে দেয়। মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে বলা হয়, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এমন একটি পোস্ট করা হয়েছে, যা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। ব্যক্তির গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষার্থেই ব্লক করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই রাহুল গাঁধীর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করেছিল ট্যুইটার। কিছুদিন আগে, দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গত বুধবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান রাহুল। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবার ছবি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ। তার জেরেই ব্যবস্থা নেয় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। আর তারপরই চরমে ওঠে সংঘাত। রাহুল গাঁধী অভিযোগ শানান, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছে ট্যুইটার।


আর চলতে থাকা টানা সংঘাতের মাঝে বারবার সামনে চলে আসে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীর নাম। যার জেরেই তাঁকে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণ করে মার্কিন মুলুকে পাঠানো হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।