পোর্ট ব্লেয়ার: জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান-নিকোবর। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা ২৭ মিনিটে প্রথ, ভূকম্প অনুভূত হয়। এরপর প্রায় ১ ঘণ্টার মধ্যেই সকাল ৭ টা ২১ মিনিটে ফের দ্বিতীয় ভূমিকম্প টের পাওয়া যায়। আগাম কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই এই ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
জোড়া ভূমিকম্পে ফের আন্দামান নিকোবরে ফিরে এসেছে সুনামির সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যদিও রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩। এই কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ৩ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে, এই কম্পনের উৎস ছিল পোর্টব্লেয়ার থেকে ২৪৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। এর পর সকাল ৭ টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয় নিকোবর দ্বীপের কাছেই।
এই দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল প্রায় এক। যার গভীরতা ৩০ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এটিকে প্রথম ভূমিকম্পের আফটার এফেক্ট ভাবলেও কম্পনের তীব্রতায় বোঝা যায় এটি আফটার এফেক্ট নয়, বরং আরেকটি ভূমিকম্প। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বা প্রাণহানির কোনও খবর নেই।
সমুদ্র তীরবর্তী এই অঞ্চলে ভূমিকম্প বা সুনামি নতুন কোনও ঘটনা হয়। যদিও এই ভূমিকম্পের আগাম কোনও সতর্কতা নেই। ভূমিকম্প হলেই ২০০৪-এর ভয়াবহ সুনামির স্মৃতি ভেসে ওঠে বাসিন্দাদের মনে। সেই তীব্র ভূমিকম্পে বদলে গিয়েছিল মানচিত্রও।
সম্প্রতি লোকসভায় 'মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্স'-এর মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন শের ৫৯ শতাংশ এলাকাই ভূমিকম্প-প্রবণ। তথ্য বলছে, দেশের ১১ শতাংশ ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৫-এ। জোন ৪-এ রয়েছে দেশের ১৮ শতাংশ অঞ্চল। তবে সবথেকে বেশি ৩০ শতাংশ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৩-তে।
২০২০ সালে বহুবার ভূমিকম্প হয়েছে দেশে। যার মধ্যে ৯৬৫ বার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ বা তার বেশি। সবথেকে আশঙ্কাজনক জোন ৫-এ রয়েছে ভুজ, দারভাঙা,গুয়াহাটি, তেজপুর, শ্রীনগর, সাদিয়া, পোর্ট ব্লেয়ার, মান্ডি, কোহিমা, জোরহাটের নাম। জোন ৪-এ রয়েছে আলমোরা, কলকাতা, জলপাইগুড়ি, লুধিয়ানা, মোরাদাবাদ, পটনা, পিলভিট, শিমলা, রুরকি, অম্বালা, অমৃতসর, বাহরাইচ, বারাউনি, বুলন্দশহর, চণ্ডীগড়, দার্জিলিংয়ের নাম।