উদয়পুর: উদয়পুর (Udaipur) হত্যাকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রয়েছে কি জঙ্গী যোগ ? এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। তারই মাঝে প্রকাশ্যে এল এবার অভিযুক্তের বাইকের নাম্বার। যা এবার সত্যি সত্যিই চিন্তার কারণ তৈরি করেছে। মূলত,  নুপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় এক ব্যক্তিকে দর্জির দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা রাজস্থান (Rajasthan) তথা দেশ (India)। পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  আর এবার সেই অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বারই চমকে দিল সবাইকে। সংবাদ সংস্থা  এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাইকে নাম্বার প্লেটে লেখা নাম্বারটি হল ২৬ ১১। যা দেখলেই টাটকা হয়ে ওঠে মুম্বই হামলার ভয়াবহ স্মৃতি।






অভিযুক্তের বাইকে নাম্বার প্লেটে মুম্বই হামলার তারিখ !


সংবাদ সংস্থা  এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বার RJ 27 AS 26 11 । আর এই নাম্বার দেখলেই টাটকা হয়ে ওঠে মুম্বই হামলার ১৪ বছর আগের ভয়াবহ স্মৃতি। তবে যে এই নাম্বার ক্রমান্বয়ে মহম্মদ রিয়াজ পেয়েছে  তাও নয়, এই নাম্বার প্লেটের জন্য রীতিমতো টাকা খরচ করতে হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কেন এমন নাম্বার প্লেট বসাল রিয়াজ, তাহলে কি এর সঙ্গে মুম্বই হামলার কোনও যোগাযোগ রয়েছে।প্রসঙ্গত,  নুপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় এক ব্যক্তিকে দর্জির দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আত্মঘাতী হামলার হুমকিও দেয় আলকায়দা


মূলত সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিতর্কিত হন বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা। তার পদ থেকে সরিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। তাঁর বক্তব্যের পর প্রথমে উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ। তারপর ধীরেধীরে গোটা দেশের এক একটা রাজ্য। একাধিক সংখ্যা লঘু সংগঠন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। যার প্রভাব এসে পড়ে বাংলাতেও। হাওড়া-মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। এদিকে নুপুর ইস্যুতে হিংসাত্মক আত্মঘাতী হামলার হুমকিও দেয় আলকায়দা। এহেন স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত বক্তব্যের পর নুপুরকে সমর্থন করতে গিয়ে হিংসা মোড় নেয় রাজস্থানে। হত্যা করা হয় ওই সমর্থনকারী ব্যক্তিকে।