উদয়পুর (রাজস্থান): উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এনিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে টুইট করেছেন তৃণমূলের যুবরাজ। অভিষেক বন্দ্যোোপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন, না , তাঁরা একতা-সম্প্রীতি-গণতন্ত্র কিছুই চায় না। তাঁরা শুধুই চায়, দেশকে ভাগ করতে। উদয়পুর হিংসাকাণ্ডের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি যোগ সূত্র রয়েছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদয়পুরের ভয়াবহ নৃশংতায় এবার বিজেপিকে দায়ী করে যোগসূত্র টানলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিতর্কিত হন বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা। তার পদ থেকে সরিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। এরপর বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যের পর উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ। যদিও এখন আর সেটা উত্তরপ্রদেশে আটকে। হিংসা ছড়িয়েছে বাংলা, রাজস্থানে। নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভ দেখায় একাধিক সংখ্যা লঘু সংগঠন। আগুন জ্বলে বাংলায়। তবে রাজস্থানের ঘটনাটি সব মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত বক্তব্যের পর বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মা সমর্থন করতে গিয়ে হিংসা মোড় নেয় রাজস্থানে। সমর্থনকারী ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন এনআইএ কোর্ট চত্বরে অভিযুক্তদের আনার সময় আমজনতা ক্ষোভ উগরে দেয়। আক্রমণ চালায় অভিযুক্তের উপর।
উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই শান্তিকামনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতা টুইট করে জানিয়েছেন, 'উগ্রপন্থা এবং হিংসা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তা সেটা যে কোনও কারণেই হোক না কেন।আমি উদয়পুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আইন সিদ্ধান্ত নিক।আমি সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।'