নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-কে (NIA) উদয়পুরের (Udaipur) নৃশংস হত্য়াকাণ্ডের (brutal murder) তদন্তভার নিতে নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কানহাইয়া লালের (kanhaiya laal) খুনকে জঙ্গি-হামলা (terror attack)  হিসেবে ধরে নিয়েই এনআইএ-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নারকীয় ওই ঘটনায় কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন (international link) জড়িত কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখবে তারা। এর মধ্যেই দায়িত্ব দিয়েছে এনআইএ। 


কী বলছে এনআইএ?


কানহাইয়া লালের হত্যারহস্য কিনারার দায়িত্ব যে এনআইএ-কে দেওয়া হচ্ছে, সে কথা টুইটারে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র।



পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত-ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক সেরে বেরিয়ে বলেন, তাঁর প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কানহাইয়া লালকে যে ভাবে খুন করা হয়েছে তা কোনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও চরমপন্থী সংগঠনের মদত ছাড়া সম্ভব নয়। 


পাক-যোগের অভিযোগ


সূত্রের খবর,'দাওয়াত-এ-ইসলাম' নামে এক পাক (pakistan) জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারির। পাকিস্তানের অন্তত ১০টি ফোন নম্বর তার মোবাইলে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। দ্বিতীয় অভিযুক্ত গউস মহম্মদ দুবার নেপালে গিয়েছিল। তার দুবাই-যোগের কথাও শোনা যাচ্ছে। কানহাইয়াকে হত্য়ার আগে আইএসআইএসের বেশ কিছু ভিডিও দেখে দুজন, দাবি সূত্রের। 
পেশায় দর্জি কানহাইয়া লাল তেলিকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় গত মঙ্গলবার। এতেই শেষ নয়। রিয়াজ আখতারি এবং গউস মহম্মদ মিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে। সঙ্গে দাবি, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার বদলা নিতেই খুন করা হয়েছে কানহাইয়া লালকে। এর পরই তটস্থ হয়ে ওঠে প্রশাসন। সাতটি থানা এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। রাজস্থানের ৩৩টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী মাস পর্যন্ত সব কটি জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। 
এর মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজস্থান সরকার আগেই সিট গঠন করে তদন্ত করছে। উদয়পুরের ডিভিশনাল কমিশনার কানহাইয়া লালের পরিবারের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু যে ভাবে তাঁকে খুন হতে হয়েছে তা নিয়ে আতঙ্কের চোরাস্রোত স্থানীয়দের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, 'এটি কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।'তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্রের খুঁটিনাটি, অভিযুক্তদের সঙ্গে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক চরমপন্থী সংগঠনের যোগাযোগ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য সময়মতো জানানো হবে।
সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থনে কথা বলেছিলেন কানহাইয়া লাল। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, তার পরে এই নৃশংস খুন। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশকে জানালেও বিষয়টি আমল দেয়নি। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় উদয়পুরের ধানমন্ডির এএসআই-কে এর মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: 'হিংসা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়', উদয়পুরকাণ্ডে মমতা টুইট করতেই কী নিয়ে তোপ শুভেন্দুর ?