উদয়পুর: রাজস্থানের উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডের (Udaipur Murder Incident) ইস্যুতে শান্তিকামনা করে টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। মূলত,  নুপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় এক ব্যক্তিকে দর্জির দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই উত্তাল গোটা রাজস্থান (Rajasthan) তথা দেশ (India)। এহেন পরিস্থিতিতে শান্তি কামনা করে এদিন টুইট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই হত্যাকাণ্ডের পর আত্মার শান্তি কামনা করে টুইট করেন প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর তার ঠিক পরে পরেই মমতার একটি ভিডিও তুলে তোপ দেগেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা। 


আরও পড়ুন, ঝালদায় কংগ্রেসের বড় জয়, ৭৭৮ ভোটে জিতলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো


এদিন সকালেই উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের  (Udaipur Violence) ইস্যুতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) টুইট করে জানান, 'হিংসা এবং উগ্রপন্থা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তা সেটা যেই কারণেই হোক না কেন। আমি উদয়পুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আইন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমি সকলকেই শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।' প্রসঙ্গত,  নুপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় এক ব্যক্তিকে দর্জির দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করা হয়। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূলত সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে হজরত মহম্মদকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিতর্কিত হন বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা। তার পদ থেকে সরিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। তাঁর বক্তব্যের পর প্রথমে উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ। তারপর ধীরেধীরে গোটা দেশের এক একটা রাজ্য। একাধিক সংখ্যা লঘু সংগঠন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। যার প্রভাব এসে পড়ে বাংলাতেও। হাওড়া-মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। এদিকে নুপুর ইস্যুতে হিংসাত্মক আত্মঘাতী হামলার হুমকিও দেয় আলকায়দা। এহেন স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত বক্তব্যের পর নুপুরকে সমর্থন করতে গিয়ে হিংসা মোড় নেয় রাজস্থানে। হত্যা করা হয় ওই সমর্থনকারী ব্যক্তিকে।






স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যু এতটাই তীব্রতর হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে প্রায় সব পদ্ম নেতারাই খুব সতর্ক রয়েছেন, নিজেদের বক্তব্য নিয়ে। এদিন মমতার টুইটের পরপরই শান্তিকামনা করে টুইট করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন মমতার একটি সভার বক্তব্য ঘিরে ভিডিও টুইটারে আপলোড করে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মূলত, ২১ জুলাই এর দিনে যেখানে মমতা বলেছেন, '২১ জুলাই আমাদের শহিদ তর্পনের দিবস। ২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার দিবস।' এই ভিডিও আপলোড করে নিরপত্তা ইস্যুতে 'হুমকি' বলে ব্যাখ্যা করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিকভাবেই এহেন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে মমতার ভিডিও আপলোড করে শুভেন্দু টুইট যে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ, বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।