নয়া দিল্লি : বিশ্বকে তাঁর শান্তির বার্তা শুনতে হবে এবং বিশ্বাস ও সহিষ্ণুতার একটি নতুন যুগের সূচনা করতে হবে। মহাত্মা গাঁধীর (Mahatma Gandhi) ১৫২ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে এভাবেই শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্তোনিও গুতারেস। 


গাঁধীর শ্রদ্ধায় রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল সেক্রেটারি ট্যুইটারে লেখেন, ঘৃণা, বিভাজন ও দ্বন্দ্বের দিন ছিল। এখন শান্তি, বিশ্বাস এবং সহিষ্ণুতার এক নতুন যুগের সূচনা করার সময় এসেছে। এই আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে - গাঁধীর জন্মদিন - আসুন তাঁর শান্তির বার্তা শুনি এবং সকলের জন্য একটি ভাল ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।


১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দর শহরে জন্মগ্রহণ করেন মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য তিনি অহিংসার পথ বেছে নিয়েছিলেন। 'স্বরাজ' ও 'অহিংসা'-র প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা বিশ্বজুড়ে পরিচিতি নিয়ে আসে। গাঁধীর জন্মদিন গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালিত হয়। 


আরও পড়ুন ; মহাত্মা গাঁধীর ১৫২ তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদি - কোবিন্দের


এদিকে গাঁধীর জন্মদিন উপলক্ষে রাজঘাটে তাঁর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ রাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রদ্ধা জানান লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও। রাজঘাটে গিয়ে গাঁধীজিকে শ্রদ্ধা জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া। 


ট্যুইটারে রাষ্ট্রপতি লেখেন, গাঁধীজয়ন্তী-তে বাপুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। সব ভারতীয়র কাছে তাঁর লড়াই এবং ত্যাগ স্মরণ করার জন্য এটা একটা বিশেষ দিন। চলুন আমরা অঙ্গীকার করি, গাঁধীজির স্বপ্নের ভারত বানানোর। তাঁর আদর্শ, মতাদর্শকে মেনে চলি। 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "জাতির জনক"- এর  আদর্শের কথা বলে ট্যুইট করেন।  মহাত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, গাঁধীজির দর্শন এখনও বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা।  মহাত্মার জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গাঁধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে আজ সকাল থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজনীতিকরা।