লখনউ:  দিনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু কালেক্টরেট অফিসে তখনও পৌঁছতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বালিয়া কালেক্টরেটে রিটার্নিং অফিসারের দফতরে পৌঁছতে দৌড় লাগালেন উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী উপেন্দ্র তিওয়ারি।  


উল্লেখ্য, উপেন্দ্র তিওয়ারিকে বালিয়ার ফেফনা বিধানসভা আসনে  প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাঁর রিটার্নিং অফিসারের অফিসের দিকে দৌড়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ঘোরাফেরা করছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে, গেরুয়া সাফা ও গলায় মালা পরে বালিয়া কালেক্টরেট অফিসের প্রধান  গেট থেকে মনোনয়ন হলের দিকে উপেন্দ্র তিওয়ারিকে ছুটে যাচ্ছেন। 


আসলে এই আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ১১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু শুক্রবারের সময়সীমার মধ্যেই মনোনয়ন জমা দিতে চেয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। সেজন্যই দেরি হওয়ায় দৌড় দিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদেরও ছুটতে দেখা যায়। 


 






উত্তরপ্রদেশই এবার সাত দফায় বিধানসভা ভোট  শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। দেশের অন্যতম বড় এই রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন ৪০৩টি। এর আগে ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৩১২টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল। সেবার জোট বেঁধে ভোটে যায় সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টি ২৯৮টি আসনে এবং কংগ্রেস বাকি ১০৫টি আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে এসপি কোনওক্রমে ৪৭টি আসন পায়। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে মাত্র সাতটি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। পায় ১৯টি আসন। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ। এরপর গত ৫ বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ফের একবার জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে ভোট হতে চলেছে।


এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার ইতিমধ্য়েই তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে এবার সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেই টক্কর বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজবাদী পার্টি এবার রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) সহ আরও কয়েকি ছোট দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছে। কংগ্রেস এককভাবে লড়াই করছে। লড়াইয়ে রয়েছে মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)।