নয়াদিল্লি : এখনই উত্তরপ্রদেশের ৫ শহরে লকডাউন নয়। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবারই রাজ্যের পাঁচ জায়াগায় লকডাউনের নির্দেশ দেয় হাইকার্ট। যার বিরোধিতা করে সর্বোচ্চ আদালতে যায় যোগীর সরকার।



সম্প্রতি রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনার গ্রাফ। উত্তরপ্রদেশের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাঁচ শহরে লকডাউন জারি করার নির্দেশ দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। নির্দেশে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারনসী, কানপুর, গোরক্ষপুরের মতো শহরে লকডাউন জারি থাকবে।

যদিও এই নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। রাজ্যের তরফে বলা হয়, বিচারবিভাগীয় নির্দেশের মাধ্যমে লকডাউন জারি করা সঠিক পথ নয়। এই নির্দেশের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করেছে হাইকোর্ট। প্রশাসনের তরফে বলা হয়,হাইকোর্ট করোনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিছু নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় তা ইতিমধ্যেই কার্য়করী করেছে রাজ্য সরকার।

প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন এমন অবস্থার সৃষ্টি হল? সোমবার ইউপি-র ৫ শহরে লকডাউন ঘোষণার সময় তার কারণ জানায় খোদ হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়, লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারনসী, কানপুর, গোরক্ষপুরের করোনা পরিস্থিতি খুবই জটিল। যা দেখে মনে হচ্ছে, এইসব জায়গায় আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সমস্যার সমাধান করতে অক্ষম।

যদিও ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যোগী সরকার। তারা বলে, এরকম লকডাউন এখন প্রয়োজন নেই। লকডাউন ঘোষণার ক্ষেত্রে জীবনের পাশাপাশি জীবিকার বিষয়টাও দেখতে হয়। উত্তরপ্রদেশের করোনা চিত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ২৮,২২১ জন। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবারই  ইউপি-তে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী হনুমান মিশ্র।

এদিনই রাজ্যে ফের করোনা কার্ফু জারি করার কথা ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে রাজ্যে উইকেন্ড লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০০-র বেশি সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে এমন জেলায় নাইট কার্ফু জারি করা হচ্ছে।
রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে এই কার্ফু।