ব্যাঙ্গালোর: একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫,০০০। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সবকিছু দেখেও লকডাউনের পথে হাঁটতে রাজি নয় কর্ণাটক সরকার। তবে করোনা রুখতে মঙ্গলবারই বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫,৭৮৫জন। সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৪৬জন। রাজ্যের কোভিড বুলেটিন বলছে, সব মিলিয়ে কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত ১১,৭৬,৮৫০জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,৪৯৭ জন। যা ঘুম ছুটিয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু এতকিছুর পরও লকডাউনের পথে হাঁটতে রাজি নয় দক্ষিণের এই রাজ্য।
কদিন আগে রাজ্যে লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানান, এখনই এরকম কিছুর দিকে হাঁটতে রাজি নয় তার সরকার। সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে লকডাউন নিয়ে সরকারের মনোভাব প্রকাশ করেছেন রাজস্বমন্ত্রী আর অশোক। তিনি জানান, কর্ণাটকে লকডাউন বা আংশিক লকডাউন করার কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই।ঘটনাচক্রে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সেক্রেটারি আর অশোক। সোমবারই কর্ণাটকের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যেরনবিধায়ক,মন্ত্রী, সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। অশোকের মতে, আগামী ২ মাস রাজ্যবাসীর জন্য খুবই কঠিন সময়। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদেরও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।রাজ্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবারই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্যপাল বাজুভাই বালার উপস্থিতিতে হবে এই বৈঠক।
মনে করা হচ্ছে, সেই বৈঠকের পরই রাজ্যে বেশকিছু বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। বিকেল সাড়ে ৪ টেয় বসবে এই বৈঠক। যদিও সর্বদলের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। রাজ্যপাল কেন বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়েও সওয়াল করেছ কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বেঙ্গালুরু ছাড়াও কিছু জায়গায় নাইট কার্ফুর সময় ২ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিতে পাড়ে কর্ণাটক সরকার। জিম, হোটেল, পানশালা, কলেজ, সিনেমাহলে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। বিকেলে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। তবে তা ২১ এপ্রিল থেকে চালু হবে।