আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের সমর্থনের ভিত বুঝতে গিয়ে বিপত্তি বাড়ল 'টিম পিকে'-র। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর ২৩ জন কর্মীকে হোটেলে আটকে রেখেছে পুলিশ। ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। তার আগে প্রতিবেশী রাজ্যে 'পলিটিক্যাল রেকি' করতে গিয়েছে পিকে-র টিম।


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণে করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ট্যুইট, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতারা পা রাখার আগেই বিজেপি-র ভয় চোখে পড়ছে। বাংলায় তৃণমূলের জয় দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ওরা। তাই আইপ্যাক-এর ২৩ জন কর্মীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপির অপশাসনে দেশে হাজারবার গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’


পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই দিল্লি দখলের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য ছাড়িয়ে এবার জাতীয় স্তরে জয়ই লক্ষ্য দলের। সম্প্রতি সেই জয়ের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে রাজনীতির সলতে পাকানো। দলের ভোট কৌশলী পিকে-কে নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে ধাপে ধাপে এগোতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেই পরিকল্পনামাফিক ত্রিপুরায় গিয়েছে টিম আইপ্যাক-এর সদস্যরা।


আইপ্যাক-এর কর্মীদের হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ মৈনাক দাস। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বহিরাগত ২২ জন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাজ্যে এখন করোনার বিধিনিষেধ চলেছ। তাই তাদের এখানে আসার ও থাকার কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। সোমবারই তাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও তাদের রিপোর্ট আসা বাকি।’ 


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিংহ। তিনি বলেছেন, ''একজন ত্রিপুরাবাসী হয়ে এই ঘটনা দেখে আমি স্তম্ভিত। এটা ত্রিপুরার সংস্কৃতি নয়। রাজ্যে তৃণমূলের প্রতি জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসনের জন্যই তৃণমূলকে সমর্থন করছে মানুষ।''