উন্নাও : ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উন্নাও (Unnao)। উন্নাওয়ের হাসপাতালে এক নার্সের রহস্যমৃত্যু। কাজে যোগ দেওয়ার পরের দিনেই হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হল নার্সের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের  অভিযোগ, তাদের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ৩ জনের নামে ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন মৃতের মা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।


অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উন্নাও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শশী শেখর সিংহ। তিনি জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন ; উত্তরপ্রদেশে উন্নাও গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার মাকে প্রার্থী করল কংগ্রেস


এর আগে ২০১৭ সালে উন্নাওয়ের কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। ২০১৮ তে ৮ এপ্রিল লখনউয়ে যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে ওই কিশোরী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। 


২০২০ সালের মার্চে, উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়ে বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সাজা হয় সেঙ্গারের ভাইয়ের। দুই ভাইকে নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়াও হয়। উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়ে বিজেপির বহিষ্কৃত বিধায়ক ও তাঁর ভাই সহ ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।  মামলা চলাকালীন ২০১৮-য় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার।


উল্লেখ্য, শুনানি চলাকালীন কুলদীপ সেঙ্গার বলেছিলেন, দোষ করে থাকলে তাঁর ফাঁসি হোক, চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হোক। তিনি নিজেই নিজের হয়ে সওয়াল করেন, দাবি করেন, অভিযোগকারিণীর বাবার খুনে তাঁর হাত ছিল না। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় আদালত।