দেহরাদূণ: একের পর এক নির্বাচনে ধরাশায়ী দল। প্রশ্ন উঠছে তাঁর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গাধীর (Rahul Gandhi) উপরই ভরসা পুষ্পা মুঞ্জিলালের (Pushpa Munjilal)। তাই নিজের স্থাবর-অস্থাবর সবকিছু রাজীবন তনয়ের নামে লিখে দিলেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, “হয়ত তেমন জনপ্রিয় নন, কিন্তু রাহুল গাধী  এক জন খাঁটি মানুষ।”


৫০ লক্ষের সম্পত্তি, ১০ ভরি সোনা রাহুলের নামে করে দিলেন বৃদ্ধা


উত্তরখণ্ডের (Uttarakhand News) দেহরাদূণের (Dehradun News) বাসিন্দা পুষ্পাদেবী। বয়স ৭৮ বছর। রাহুলের নামে ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং ১০ ভরি সোনা লিখে দিয়েছেন তিনি। দেহরাদূণ আদালতে সেই মর্মে নিজের ইচ্ছাপত্রও জমা দিয়েছেন। তাতে জানিয়েছেন, তাঁর সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা রাহুলের হাতে তুলে দিলেন তিনি।


আচমকা এমন সিদ্ধান্ত কেন জানতে চাইলে পুষ্পাদেবী জানান, রাহুলের ভাবনা-চিন্তা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। জনপ্রিয়তায় রাজীব-তনয় পিছিয়ে থাকলেও, তাঁকে প্রয়োজন দেশের। তাই নিজের সবকিছু হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


দেহরাদূণ মেট্রোপলিটনের কংগ্রেস সভাপতি লালচাঁদ শর্মা জানিয়েছেন, রাহুলের নামে সব লিখে দিয়েছেন পুষ্পাদেবী। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রীতম সিংহর বাসভবনে পুষ্পাদেবী নিজের ইচ্ছাপত্র তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন লালচাঁদ।





আরও পড়ুন: Puri Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তাণ্ডব, শতাব্দী প্রাচীন মাটির উনুন ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের


সংবাদমাধ্যমে পুষ্পাদেবী জানান, রাহুল সাদাসিধে মানুষ। আসলে রাহুলের স্ত্রীকেই গয়না দিয়ে সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সাধ পূরণ না হলেও, সবকিছু রাহুলকে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চেয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস, সঠিক কাজেই রাহুল টাকার সদ্ব্যবহার করবেন। তবে রাহুল নিজের ইচ্ছে মতো ওই টাকা খরচ করতে পারেন বলেও জানিয়ে দেন।  


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুড়বুড়ায় গুরুনানক ইন্ট কলেজে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন পুষ্পাদেবী। এ ছাড়াও সমাজসেবামূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। বিবাহ করেননি তিনি। বিগত ২০ বছর ধরে বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন।