নয়াদিল্লি : উত্তরাখণ্ডে প্রবলবৃষ্টি ও প্লাবনে মৃতের সংখ্যা ৪৬ ছুঁল। গত ২ দিন ধরে ভয়ঙ্কর বর্ষণ বিপর্যস্ত দেবভূম। নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। National Disaster Response Force (NDRF) ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে বহু মানুষকে। আজ দেবভূমে পরিস্থিতি দেখতে যাচ্ছেন অমিত শাহ। এরপর তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে। উত্তরাখণ্ডে বিপর্যস্ত এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 





উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার (DGP Ashok Kumar )জানান, জলস্তর আগের থেকে নেমেছে। কিন্তু বহু রাস্তা এখনও খোলেনি। তিনি বলেন , '' কিছুটা সময় লাগবে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে। হাজার হাজার মানুষকে বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরিয়ে এনেছে SDRF, NDRF ও পুলিশ। 
বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড।  নৈনিতাল লেকের জল রাস্তায়।  এর জেরে নৈনিতালের বহু রাস্তা, বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।  বদ্রিনাথে জাতীয় সড়কে জলের তোড়ের মধ্যে একটি গাড়িতে কয়েকজন আটকে পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের কর্মীরা। 







হলদওয়ানিতে গাউলা নদীর সেতুর ওপর দিয়ে জল বইছে।  সেই রাস্তায় আসছিলেন এক মোটরবাইক আরোহী। স্থানীয় মানুষজন সতর্ক করায় তিনি আর সেতুতে না উঠে ফিরে যান।  ধসের কারণে আটকে পড়েছেন প্রায় ১০০ জন পর্যটক। 
সোনপ্রয়াগ এবং মন্দাকিনীর সঙ্গমস্থলে ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। আগামী ৭২ ঘণ্টায় গারোয়াল এবং কুমায়ুন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতির আশঙ্কায় চারধাম যাত্রার পর্যটকদের বিভিন্ন সুরক্ষিত জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছে। হেমকুণ্ড সাহিবে আটকে পড়া প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। হেমকুণ্ড যাত্রা ফের শুরু হয়েছে। 
দেহরাদুন এবং হরিদ্বারেও ভারি বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের শ্রীনগরে ভারি বৃষ্টির পর অলকানন্দা নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। অন্যদিকে গুজরাতের অমরেলি সহ বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবারও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। গুজরাত ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।