নয়াদিল্লি : হিমাচলের কিন্নরে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জন। ১৪ অক্টোবর, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী সংলগ্ন হরশিল থেকে হিমাচলের কিন্নর জেলার ছিটকুলের দিকে রওনা দেয় দলটি। হরশিল-ছিটকুল সংযোগকারী দুর্গম লামখাগা পাসে পৌঁছনোর পর থেকেই ট্রেকারদের সন্ধান মিলছে না। খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ, বন দফতর ও ক্যুইক রেসপন্স টিম। আইটিবিপি-কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। 


রাজ্য সরকারের প্রকাশিত সংশোধিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বুধবার উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪। অন্তত পাঁচজন নিখোঁজ


 মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি  সকালে রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কুমায়ুন পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি জানান, রাজ্য জুড়ে “ব্যাপক ক্ষতি” হয়েছে ।  স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে। ত্রাণের কাজের জন্য জেলাশাসকদের প্রত্যেককে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।বিপর্যয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে ৪ লাখ টাকা করে। 



১৯১৪ সালের পর, গত ১০৭ বছরে এত বৃষ্টি কখনও হয়নি নৈনিতালে। যার ফলে বেনজিরভাবে নৈনিদেবীর মন্দিরে ঢোকে জল। সাত পাহাড়ে ঘেরা নৈনি হ্রদ, ভাসিয়ে দেয় ম্যাল রোডকে। নবরাত্রি, দুর্গাপুজো সঙ্গে দশেরার ছুটি। গত কয়েকদিনে ভিড় উপচে পড়ে এই শৈলশহরে।  মেঘভাঙা বৃষ্টি, তার সঙ্গে চর্তুদিকে ধস নামায়, চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখোমুখি নৈনিতালে বেড়াতে আসা কয়েকশো পর্যটক। টানা কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি দেখেছে নৈনিতাল। কিন্তু, প্রকৃতির এমন রূপ অচেনা ঠেকেছে শৈলশহরের বাসিন্দাদের কাছে।


দেরাদুনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হিমালয়ের পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আসা বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্পের জন্য নৈনিতালে মেঘভাঙা বৃষ্টি। আর এই দুর্যোগের ধাক্কায় , এপর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছুইছুঁই।মৃতদের মধ্যে ২৮ জনই নৈনিতালের বাসিন্দা।


উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে গিয়ে বিপাকে শিবপুরের বাসিন্দা চিকিত্সকের পরিবার। দশমীর দিন স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে কৌশানি যান চিকিত্সক অনিন্দ্য দাস। আপাতত নৈনিতালে আটকে রয়েছেন তিনি। ৭২ ঘণ্টা লাগাতার বৃষ্টিতে জলের তলায় নৈনিতাল শহর, কাঠগোদাম স্টেশন। লেকের জল বইছে পাহাড়ি রাস্তার ওপর দিয়ে। চিকিত্সকের দাবি, বিদ্যুত্হীন নৈনিতাল শহর, ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। চিকিত্সকের অভিযোগ, জেলাশাসকের দফতরে ফোন করে সাড়া মেলেনি, পুলিশও সহযোগিতা করছে না। নৈনিতাল থেকে কীভাবে ফিরবেন ভেবেই পাচ্ছেন না শিবপুরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক।