নয়াদিল্লি: ভয়বহ ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তাই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল আদালত চত্বরেও। রাজস্থানের জয়পুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় শনিবার দুই অভিযুক্তকে বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ক্ষুব্ধ মানুষের ভিড়। পুলিশি নিরাপত্তায় দু'জনকে আদালত থেকে বার করে আনা হচ্ছিল। সেই সময়ই দুই দিক থেকে তেড়ে আসেন আইনজীবী থেকে সাধারণ মানুষ। কোনও রকমে দুই অভিযুক্তকে ভ্যানে তোলে পুলিশ (Udaipur Killings)। 


আদালত চত্বরে হামলার মুখে দুই অভিযুক্ত


পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি-র প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার (NupurSharma) মন্তব্যকে সমর্থন করায় সম্প্রতি পেশায় দর্জি এক ব্যক্তিকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। ফেসবুক ভিডিওতে শুধু তার দায়স্বীকারই নয়, খুনের আগে এবং খুনের সময়কার ভিডিও-ও প্রকাশ করেন রিয়াজ আখতারি এবং গোস মহম্মদ নামের দুই যুবক। ৪৮ বক বয়সি কানহইয়া লালকে কুপিয়ে খুনের কথা জানান তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকিও দেন। 


আগেই ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। শনিবার তাঁদের জয়পুরের বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। তার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল আদালত চত্বর। আদালত থেকে তাঁদের বর করে আনার সময় কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে ছিল। অভিযুক্তদের দেখামাত্রই 'পাকিস্তান মুর্দাবাদ', 'কানহাইয়ার খুনিদের ফাঁসি হোক' রব ওঠে (Viral Video)। 



আরও পড়ুন: Nupur Sharma: বারবার তলবেও বেপাত্তা নূপুর ! বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস কলকাতা পুলিশের


সেই সময়ই পুলিশি নিরাপত্তায় থাকা দুই বন্দির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ভিড়। চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি উড়ে আসতে শুরু করে দুই দিক থেকে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে টানা-হ্যাঁচড়াও। কোনও রকমে ভিড়ের হাত থেকে ওই দু'জনকে উদ্ধার করে ভ্যানে তোলা হয়। তবে ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। 


বাড়ল হেফাজতের মেয়াদ


আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত দুই অভিযুক্তের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে বিশেষ এনআইএ আদালত। তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে, সেই অনুযায়ী, খুন হওয়ার আগে প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছিলেন কানহাইয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পেয়েছিলেন বলে জানান। নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন জানানোতেই হুমকি পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরই খুন হতে হয় তাঁকে। জয়পুরের সেই ঘটনার পর মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতেও এক কেমিস্টকে খুন করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনিও নীপুরের মন্তব্যকে সমর্থন করেন বলে জানা গিয়েছে। এই মামলারও তদন্তে এনআইএ।