নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ভোটের মুখে ফের ধাক্কা তৃণমূলের। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নাটকীয়ভাবে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'দমবন্ধ হয়ে আসছে। দলে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না। এর থেকে বাংলায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াব।'


তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে কখনো না কখনো অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়। ‘আমার জীবনেও এখন তেমন মুহূর্ত এসেছে। যেভাবে বাংলায় হিংসা হচ্ছে, আমার খারাপ লাগে। আমি আর এসব দেখতে পারছি না।  তাই আজ এখান থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ পদ্ধতি মেনে ইস্তফা দিন, দীনেশ ত্রিবেদীকে বলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। 


এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটের প্রশংসা করে রিট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। লিখেছিলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি এর সঙ্গে একমত। এগিয়ে যেতে হলে তরুণ, প্রতিভাবানদের সম্পত্তি তৈরি বণ্টন করতে দিতে হবে। সরকারি লেভি দিন, কর্মসংস্থান তৈরি করুন। এর জন্য সরকারি অফিসারদেরও (বাবু) তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে।'



‘আগে তিনি অভিযোগের কথা জানাননি। ওনার সিদ্ধান্তে আমি দুঃখিত। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে দল। ভোটের মুখে এটা করা ঠিক হল না’, প্রতিক্রিয়া সৌগত রায়ের।  'দলে এলে স্বাগত জানাব', বললেন দিলীপ ঘোষ। 


‘একবার রেলমন্ত্রী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি অন্তরাত্মা, মনের কথা জানিয়েছেন। উনি দলে এলে স্বাগত জানানো হবে। তৃণমূলে সকলকে দমবন্ধ অবস্থায় থাকতে হয়’, প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের।





মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ও পরে রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদী। ২০০৯ ও ২০১৪-য় ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে লোকসভার সাংসদ হন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির অর্জুন সিংয়ের কাছে হেরে যান দীনেশ ত্রিবেদী। এরপর রাজ্যসভার সাংসদ হন। 


এর আগে ১৯৯০-৯৬ ও ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে।