নয়াদিল্লি: সম্প্রতি নিজেদের বাগানে ফলানো এক দুষ্প্রাপ্য ফল রক্ষার্থে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী নিয়োগ ও সারমেয় পুষেছেন মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি। তাঁরা জানিয়েছেন, ট্রেনে এক সহযাত্রী তাঁদের ওই গাছের চারা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, নিজের বাড়ির ছাদে এই গাছ লাগিয়ে ফলন ধরিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এক নাগরিকও।
এই দুষ্প্রাপ্য ফল হল মিয়াজাকি আম। মূলত জাপানেই ফলন হওয়া আম বিশ্বর সবচেয়ে দামী বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপন্ন অন্যান্য আমের প্রজাতির থেকে দৃশ্যত আলাদা এই মিয়াজাকি আম। আকারও আলাদা। এই বিশেষ আমের প্রজাতি একেবারে গাঢ় লাল বা বেগুনী ধাঁচের।
জাপানের কিয়ুশু প্রিফেকচারের মিয়াজাকি শহরে মূলত পাওয়া যায় এই আম। শহরের নামেই হয়েছে আমের নামকরণ। আমটি দেখতে অনেকটা ডায়নোসরের ডিমের মতো। তাই এই আমকে জাপানি ভাষায় "তাইয়ো-নো-তামাগো" বলেও ডাকা হয়। অর্থ- সূর্যের ডিম।
মিয়াজাকি আমের এক-একটির ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রামের হয়। অন্য আমের তুলনায় এতে সর্করার পরিমাণ ১৫ শতাংশ বেশি। যে কারণে, এটি বেশ মিষ্টি। জাপানে মিয়াজাকি আমের ফলন হয় সাধারণত এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্য়ে।
এই আম বিশ্বের অন্যতম দামী ও ব্যয়বহুল বলে বিবেচিত। দাম কেজিপ্রতি প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এক কেজি মিয়াজাকি আমের দাম ২.৭০ লক্ষ টাকা। অন্তত, আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছর এই দর উঠেছিল। খবর জাপানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
জাপানের বাণিজ্যিক মহলের দাবি, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় উৎপন্ন হওয়া হলুদ আম হল সাধারণত "পেলিকান" প্রজাতির। কিন্তু, এই মিয়াজাকি আম হল "আরউইন" প্রজাতির।
জানা গিয়েছে, এই আমগুলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় এই আম ভীষণ উপকারী।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত শতাব্দীর সাতের ও আটের দশক থেকে এই আমের চাষ শুরু হয়। উষ্ণ আবহাওয়া, দীর্ঘ দিনের সময়, এবং যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি-- এই তিনের মিশ্রণে মিয়াজাকিতে ভাল হয় এই আমের ফলন।