নয়াদিল্লিঃ আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভারতের হাতে এসে যাচ্ছে ১৬ টি রাফাল। আর উল্লেখযোগ্যভাবে যাদের মধ্যে তিনটির ঠিকানা হতে পারে উত্তরবঙ্গ। সীমান্তে চিনে চোখরাঙানি ঠেকাতে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা এয়ারবেসে শেষ ব্যাচের তিনটি রাফাল রাখতে পারে ভারতীয় বিমানবাহিনী। বায়ুসেনার গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের ধার বাড়বে এতে। ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জেট ইঞ্জিন নির্মাতা সংস্থা সাফরান ভারতেই কমব্যাট ইঞ্জিন ও তার সহায়ক যন্ত্রাংশ বানাবে। ভারত ২৫০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড সমেত এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মডিউলার অস্ত্র চেয়েও আবেদন করেছে সাফরানকে।
গত ২৯ জুলাই আবু ধাবি থেকে আম্বালা এয়ারবেসে এসে পৌঁছেছে প্রথম দফার পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। নভেম্বরের ৫ তারিখ প্রস্তুতকারী ফ্রান্সের বোরদো-মারিগনাক ঘাঁটি থেকে সরাসরি এসে পৌঁছচ্ছে আরও তিনটি রাফাল। জানা যাচ্ছে, সামনের বছরের জানুয়ারি ও মার্চে তিনটি করে ও এপ্রিলে আরও সাতটি রাফাল ভারতকে হস্তান্তর করছে ফ্রান্স। তার পরের তিনটি সরাসরি আসতে পারে হাসিমারা এয়ারবেসে।
মোট ২১টি এক আসনের ও ৭টি দুই আসনের রাফাল যুদ্ধবিমান নিচ্ছে ভারত। এয়ার টু এয়ার গ্রাউন্ড মিসাইল, এয়ার টু এয়ার মিসাইল সহ একাধিক আধুনিক অস্ত্রক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান রাফাল। ইতিমধ্যে ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল চালানোর বিষয়টি ঝালিয়ে নিচ্ছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাত ফাইটার পাইলট।
বৃহস্পতিবার থেকে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি সফরে যাচ্ছেন বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলা। তার সফরকালের মধ্যেই যাবতীয় বাকি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তারপর রাফাল আগমনের বিষয়ে চূড়ান্ত সবুজ সংকেত মিলে যাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।