কলকাতা: ‘আক্রমণে’র মহড়া শুরু করল বায়ু সেনা। রাফাল, সুখোই- ৩০ সহ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে ওই মহড়ায়। আর ওই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আক্রমণ’। মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে রাফাল। এদিন সেন্ট্রাল সেক্টর বা মধ্য ভারতে থাকা ভারতীয় বিমান ঘাঁটিগুলো থেকেই মূলত যুদ্ধের মহড়া চালানো হয়।
বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে পঞ্জাবের অম্বলায় এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা ANI-কে জানিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমানগুলি জটিল অভিযান যেমন স্থলভাগে আক্রমণ এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ড্রিল সক্ষম। পূর্ব দিক সহ বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে যাবতীয় সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমতল এবং পাহাড়ি উভয় ভূখণ্ডেই স্থল আক্রমণের মিশনকে মাথা রেখেই নিয়ে বায়ুসেনা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে হামলা চালিয়ে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের হত্য়া করেছিল জঙ্গিরা। পাল্টা ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক করে জঙ্গিদের লঞ্চপ্য়াড গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলা চালিয়ে ৪০ জন CRPF জঙ্গিকে হত্য়া করে জইশ জঙ্গিরা। পাল্টা ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এবার পহেলগাঁওতে ২৬ জন নিরীহ ভারতীয়র রক্ত ঝরল। এদিনই আরব সাগরে আইএনএস সুরাত রণতরী থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। পাকিস্তানও করাচি উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু করেছে।তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য় বলছেন, জল, স্থল হোক বা আকাশ, সামরিক শক্তিতে পাকিস্তানের থেকে ভারত ধারেভারে অনেক এগিয়ে। ভারতীয় সেনায় জওয়ানের সংখ্য়া ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৫০। সেই সঙ্গে ভারতে ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে। আর পাকিস্তানের সেনা জওয়ানের সংখ্য়া ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার। ভারতে প্য়ারামিলিটারি ফোর্সে জওয়ানের সংখ্য়া ২৫ লক্ষ ২৭ হাজার। পাকিস্তানে এই সংখ্য়া ৫ লক্ষ। ভারতীয় সেনার হাতে ৪ হাজার ২০১টি ট্য়াঙ্ক রয়েছে। পাক সেনার হাতে ট্য়াঙ্কের সংখ্য়া ২ হাজার ৬২৭, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক। ভারতের হাতে যুদ্ধবিমানের সংখ্য়া ২ হাজার ২২৯। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩৯৯টা যুদ্ধ বিমান। ভারতের হাতে যেখানে ৫১৩টা ফাইটার জেট রয়েছে সেখানে পাকিস্তানের হাতে ফাইটার জেটের সংখ্য়া ৩২৮। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ৮৯৯টা ফাইটার হেলিকপ্টার রয়েছে। আর পাক বায়ুসেনার হাতে ফাইটার হেলিকপ্টারের সংখ্য়া ৩৭৩। ভারতের হাতে ২৯৩টি নৌবহর রয়েছে। আর পাকিস্তানের হাতে নৌবহরের সংখ্য়া ১২১। ভারতের হাতে যেখানে ১৮টা ডুবোজাহাজ রয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের হাতে ডুবোজাহাজের সংখ্য়া ৮।