নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ইতি পড়েছে। তবে টানাপোড়েন এখনও অব্যাহত। সেই আবহেই মায়ানমার সীমান্তে অশান্তির আশঙ্কা। কারণ ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে মায়ানমারে স্ট্রাইক চালানোর অভিযোগ তুলল নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন United LiberationFront of Asom-Independent (ULFA-I). ভারতীয় সেনা তাদের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ULFA-I. যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনা। (India-Myanmar Border)

মায়ানমারের পূর্বে তাদের সদর দফতরে হামলা হয়েছে বলে রবিবার দাবি করেছে ULFA-I. বলা হয়েছে, রবিবার ভোরে তাদের সদর দফতরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। বিবৃতি প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, ভারতের হামলায় সংগঠনের ১৯ জন ক্যাডার মারা গিয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৯ জন। (Indian Army Strike)

ULFA-I যে দাবি করেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সংগঠনের কমান্ডার নয়ন মেধিও হামলায় মারা গিয়েছে বলে খবর সামনে আসছে।  মণিপুরের বেশ কিছু উগ্রপন্থী সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য মারা গিয়েছেন, যার মধ্যে Revolutionary People’s Front-র কয়েকজন রয়েছে বলেও খবর। Revolutionary People’s Front আসলে মণিপুরের People’s Liberation Army-র শাখা সংগঠন।

ভারতীয় সেনা যদিও মায়ানমারে স্ট্রাইক চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংবাদ সংস্থা IANS-কে এ নিয়ে বিবৃতি দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত। তিনি বলেন, “এমন অভিযান চালানো হয়েছে বেল সেনার তরফে কোনও ইনপুট নেই।”

ULFA-I সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন পরেশ বড়ুয়া। সংগঠনে এখন আর একজনই কার্যনির্বাহী নেতা রয়ে গিয়েছেন, অরুণোদয় দোহোতিয়া। অরুণোদয় মায়ানমারেই রয়েছেন। ULFA-I  সংগঠনের আর এক সিনিয়র কমান্ডার রুপম অসম মায়ানমারের বাইরে থেকেই কাজ চালাতেন। মে মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ।

পরেশের সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর যোগসূত্র রয়েছে। অরুণাচলপ্রদেশে চিন-মায়ানমার-ভারতের ত্রিদেশীয় সীমান্তে তিনি গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন কিছুদিন আগে পর্যন্তও। তবে ভারতীয় সেনা নয়, তাদের শিবিরে হামলার নেপথ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বও থাকতে পারে।

মায়ানমারে এই মুহূর্তে সেনাশাসন কায়েম রয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলি সেখানে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাতেই শিবির গড়ে থাকে তারা। সেই নিয়ে দিল্লির মাথাব্যথা কিছু কম বয়। গত মে মাসেই ভারত-মায়ানমার সীমান্তে, মণিপুরের চান্দেলে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ উগ্রপন্থীর মৃত্যু হয়।