নয়াদিল্লি: চিনকে কড়া বার্তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর। বিবৃতিতে সেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা পূর্ব লাদাখে শীতের সময়ও পুরোদমে যুদ্ধের জন্য তৈরি। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করলে চিন আরও ভাল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তৈরি, পুরোপুরি বিশ্রাম নিয়ে চাঙ্গা, মানসিক কাঠিন্যে দৃঢ় ভারতীয় জওয়ানদের সামনে পড়বে। চিনের সরকারি মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদনে ফিল্ড কন্ডিশনে অর্থাত্ বাস্তবের রণাঙ্গনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সংক্রান্ত পরিকাঠামো যথেষ্ট চাঙ্গা, মজবুত নয় এবং তারা শীতের সময় লড়তে পারবে না বলে দাবি করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সেনার নর্দার্ন কম্যান্ডের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে তাঁদের জনৈক মুখপাত্র বলেন, অজ্ঞতা থেকেই এমন কথা বলা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পুরোপুরি তৈরি, পূর্ব লাদাখে শীতেও পুরোদমে যুদ্ধ করতে একেবারে প্রস্তুত, যতটা দরকার, তার থেকেও বেশি। তিনি আরও বলেন, ভারত শান্তিকামী দেশ, নিজের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কই চায়।বরাবর আলোচনার মাধ্য়মেই সমস্যা মেটানোর পক্ষপাতী ভারত। চিনের সঙ্গে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ সমাধানে যেমন আলাপ-আলোচনা চলছে, সামরিক স্তরেও দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার জন্য ভারত ভাল ভাবে প্রস্তুত। সেনাবাহিনী উল্টে বলেছে,বরং শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্তপোক্ত ভারতীয় জওয়ানদের তুলনায় চিনের জওয়ানদের অধিকাংশই শহুরে, বাস্তবে লড়াইয়ের ময়দানে কষ্ট সহ্য করতে বা বেশিদিনের জন্য সেখানে মোতায়েন থাকায় অভ্যস্ত নয়।
মুখপাত্রটি আরও বলেন, লাদাখের উচুঁ জায়গাগুলি সুপার-হাই অল্টিচিউডে পড়ে, নভেম্বরের পর সেখানে ৪০ ফুট পর্যন্তও বরফ পড়ে। তার সঙ্গে তাপমাত্রাও কমে। মাইনাস ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তো স্বাভাবিক ব্যাপার। তাছাড়া হাড়কাঁপানো বাতাস জওয়ানদের পক্ষে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে। রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে বন্ধ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও ভারতের কাছে সবচেয়ে আশার কথা হল,ভারতীয় জওয়ানদের শীতে যুদ্ধ করার বিরাট অভিজ্ঞতা আছে, তারা সামান্য সময়ের নোটিসে মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে যায়। এসবই দুনিয়ার কাছে জানা তথ্য, তবে অপারেশন সংক্রান্ত পরিকাঠামোগত ক্ষমতা বলতে গেলে অজানাই।
মুখপাত্রটি আরও বলেন, এটা বোঝা জরুরি যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধের ময়দান, সিয়াচেনে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে।