মু্ম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব কঙ্গনা রানাউত। শিবসেনার সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে জড়িয়ে মুম্বই ছেড়ে হিমাচল প্রদেশে ফিরে গিয়েছেন।


কিন্তু কঙ্গনার মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে পরিচালক বিক্রম ভট্টের সটান জবাব--- কঙ্গনার সঙ্গে সেটে থাকলে ক্ল্যাপার বয় হওয়া ছাড়া তাঁর আর কোনও কাজ নেই।


বলিউডের একাধিক ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু বরাবর স্পষ্টবাদী কঙ্গনা। বিতর্ক তাঁর নিয়মিত সঙ্গী। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে মুভি মাফিয়া, বলিউডের ড্রাগ কানেকশন-সহ একাধিক বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেও বিষোদগার করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কঙ্গনার সঙ্গে বড়সড় হাউসগুলি কাজ করবে কিনা জানতে চাওয়া হয় পরিচালক বিক্রম ভট্টের সঙ্গে।


তিন দশকের বেশি সময় বলিউডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা পরিচালকের কথায়, "প্রশ্ন হল কঙ্গনা কি ভাল অভিনেত্রী? উত্তর, অবশ্যই হ্যাঁ। সেটা নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি। কিন্তু কঙ্গনা তো নিজেই ছবি করতে পারেন। আমার মনে হয় না ও কখনও যশরাজ ফিল্মসে কাজ করেছেন। মনে হচ্ছে উনি বোধহয় কর্ণ জোহরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, কিন্তু এখন কর্ণও নিশ্চয় ওঁর সঙ্গে কাজ করবেন না। তবে ওঁকে যে পুরোপুরি বয়কট করা হবে তা-ও আমার মনে হয় না। উনি কাজ পাবেন।"


তবে বিক্রম ভট্টের আরও সংযোজন, "উনি তো নিজেই গল্প লেখেন, নিজেই পরিচালনা করেন। ফলে আমি যদি ওঁর সঙ্গে শ্যুট করি, তা হলে সেটে দাঁড়িয়ে ক্ল্যাপস্টিক ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।"


বিভিন্ন ইস্যুতে কঙ্গনার সরব হওয়া নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করেন পরিচালক। তাঁর মতে দু'ধরেনর মানুষ আছেন। এক ধরনের মানুষ আছেন যাঁরা নিজেদের মতামত তেমনভাবে শেয়ার করেন না। কিন্তু আরেক ধরনের মানুষ রয়েছেন যাঁরা নিজেদের বক্তব্য সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে পছন্দ করেন। কঙ্গনা দ্বিতীয় গোত্রের।


এরপর তিনি বলেছেন, "গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে। কেউ তাতে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক মন্তব্য করে তা হলে তাঁকে নিয়েও যে কেউ রাজনীতি করতে পারে, বা তিনিও যে রাজনীতির শিকার হতে পারেন সেটা মাথায় রাখতে হবে।"