ওয়াশিংটন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে ব্রিটেনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবক।


ব্রিটেন ফের টিকার ট্রায়াল শুরু করলেও ওই স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সস্টিউট অব হেলথ। যদিও মার্কিন ওষুধ ও খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত দফতর এই টিকার ট্রায়াল শুরুর জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। কিন্তু এখনি এই করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল শুরু করছে না আমেরিকা।


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই প্রতিষেধক নিয়ে গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্রিটেনের এক স্বেচ্ছাসেবক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ওই স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় সামনে আনা না হলেও, সূত্রের খবর ট্রান্সভার্স মাইলাইটিসে ভুগছেন তিনি।


বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ওই প্রতিষেধক নেওয়ার ফলে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস মেরুদণ্ডে প্রদাহজনিত ব্যাধি। এর ফলে মেরুদণ্ড ফুলে যায়। যেটা ক্রমে ক্রমে পেশীকে দুর্বল করে দেয়। শারীরিক ভাবে অত্যধিক মাত্রায় দুর্বল হয়ে পড়েন। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে।


কী ধরনের সমস্যায় ওই স্বেচ্ছাসেবী ভুগছেন তা নিশ্চিত করতে ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে চায় আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সস্টিউট অব হেলথ। ইন্ট্রামুরাল ক্লিনিকাল ডিরেক্টর তথা ভাইরাল রিসার্চে নেতৃত্বদানকারী চিকিৎসক অভিন্দ্র নাথ বলেছে, ’’ যে টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেওয়া হবে, সেই টিকার সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও তথ্যপূর্ণ হয়ে উঠতে হবে।‘‘


যদিও মার্কিন ওষুধ ও খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত দফতর এই টিকার ট্রায়াল শুরু করতে বলেছে। কিন্তু একবার অসু্স্থতা দেখা দেওয়ায় সংশয়ের মেঘ অনেকের মনে। টিকার কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি নিয়ে পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত হওয়ার পরেই টিকার ট্রায়াল জারি রাখা উচিত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।