নয়াদিল্লি: চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চিনা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার যে ডাক দিয়েছেন, তাকে পাত্তা না দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কোনও ধরনের আগ্রাসনের মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ। যদিও তিনি সরাসরি জিনপিংয়ের প্রসঙ্গ তোলেননি। একটি সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশই যুদ্ধের জন্য তৈরি। সেটাই সেনাবাহিনী রাখার উদ্দেশ্য অর্থাত্ যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দেওয়া। কোনও বিশেষ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলছি না, কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষাবাহিনী সর্বদা তৈরি।


সম্প্রতি চিনা জওয়ানদের যুদ্ধের জন্য মানসিক প্রস্তুতি, উদ্যম নিতে বলেছেন জিনপিং। জানা গিয়েছে, তিনি তাদের হাই অ্যালার্ট অর্থাত চূড়ান্ত পর্যায়ের সতর্কতা বহাল রাখতেও বলেছেন, এও বলেছেন, তাদের চূড়ান্ত  অনুগত, আন্তরিক, ভরসাযোগ্য থাকতে হবে। ভারত, চিনের মধ্যে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা সংঘাতের মধ্যে  নিজেদের বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।

তবে শাহও পাল্টা ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে  গিয়ে জানান, দুটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আলোচনা এখনও পর্যন্ত বহাল রয়েছে। কিন্তু কেউ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি, কারও আমাদের কাছ থেকে এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

আমাদের উদ্দেশ্য মহান এবং বাহিনী কারও সামনে মাথা নত করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত মঙ্গলবারই ভারত ও চিনের মধ্যে সপ্তম দফার সামরিক আলোচনা ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে বলে দুদেশের বাহিনী গত মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে।  কিন্তু পূর্ব লাদাখের সংঘাতের কেন্দ্রস্থলে থাকা এলাকা থেকে দ্রুত বাহিনী সরানোর ব্যাপারে কোনও সূত্র বেরনোর সম্ভাবনা নেই। দুদেশই তাদের নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্যকে বিরোধ, বিতর্কে পরিণত হতে না দেওয়ার ঐকমত্য আন্তরিকতার  সঙ্গে অনুসরণ করে যেতে রাজি হয়েছে। নির্ভরযোগ্য  সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের সংঘাত মাথাচাড়া দেওয়া জায়গাগুলি থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের প্রশ্নে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। গত ৫ মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর।