নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনা বাহিনীর হামলায় শহিদ হয়েছেন এক অফিসার সহ ৩ ভারতীয় সেনাকর্মী। পাল্টা ভারতের জবাবে নিহত হয়েছেন ৫ চিনা পিএলএ সেনাকর্মীও। আহত আরও ১১ জন। জানা গিয়েছে, মূলত হাতাহাতি বেঁধে যায় দুপক্ষের মধ্যে। কোনওপ্রকার অস্ত্র ব্যবহার হয়নি।


সেনা সূত্রে খবর, ভারতের তিন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। কর্নেল বি সন্তোষ বাবু নামে ওই অফিসার ১৬ বিহার রেজিমেন্টে পোস্টেড ছিলেন। ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর ওই এলাকায় কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।


সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় প্যাঙ্গং লেকের ধারে ঘটা ওই সংঘর্ষে কর্নেল ছাড়াও ২ সেনা জওয়ান শহিদ হন। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম আইদিয়া পালানি। তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী ওই জওানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ওই তামিল সেনার বাড়ি রামনাথপুরম জেলার কাদুকালুর গ্রামে। আরেক জওয়ানের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।


এদিকে, সংঘর্ষে ভারতের প্রত্যাঘাতে ৫ চিনা সেনারও মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১১ জন। চিনের সরকার-পরিচালিত গ্লোবাল টাইমসের সাংবাদিক ট্যুইটে সেই কথা স্বীকার করেছেন।






প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের পর ফের ভারত-চিন সংঘর্ষ হল। ৪৫ বছরে প্রথমবার চিনা হামলায় নিহত ভারতীয় সেনা। ১৯৬২ সালে প্রথম ভারত-চিন যুদ্ধ হয়। ১৯৬৭ সালে নাথুলা পাসে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশ।


শেষবার, ১৯৭৫ সালে অরুণাচল প্রদেশে চিনা সেনার পাতা ফাঁদে প্রাণ হারান ভারতীয় জওয়ানদের একটি প্যাট্রলিং টিম। চার ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। সেই থেকে এই প্রথম চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল কোনও ভারতীয় সেনার।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত এক দশকে লাদাখ ও সিকিমে মুখোমুখি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে।


এর আগে, লাদাখের ডেমচক ও দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) এবং সিকিমের ডোকলামে তেও সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, কোনওবার তা মৃত্যুতে গড়ায়নি।