নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ: গতকাল পাকিস্তানে অপহৃত ভারতীয় দূতাবাসের ২ কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। দুই কর্মীর ওপর প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় এবং জোর করে স্বীকারোক্তি লেখানো হয় বলে অভিযোগ।



কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে ৪-৫টি গাড়ি করে এসে ২ সিআইএসএফ কর্মীকে অপহরণ করে ১৫ জনের দল। সেই সময় ওই কর্মীরা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।

চোখ বেঁধে, কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত জায়গায়। সেখানে তাঁদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়।

কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ২ কর্মীকে প্রায় দুপুর ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয়। সেই সময় ২ কর্মীকে কিল-চড়-ঘুষি মারা হয়। রড দিয়েও মারধর করা হয়। এছাড়া, জোর করে নোংরা জল খাওয়ানো হয়।

আরও অভিযোগ, এরপর তাঁদের জোর করে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করানো হয়। এখানেই শেষ নয়। ২ জনের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় এই মর্মে যে তাঁরা গাড়ি করে বহিরাগতদের নিয়ে আসেন ভারতীয়য় হাই কমিশনের মধ্যে বৈঠক করাতে। সেই সব স্বীকারোক্তি ক্যামেরাবন্দি করা হয়।

কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জেরার সময় ২ জনকে হুমকি দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মীদের সঙ্গে এরকমই ব্যবহার করা হবে। অভিযোগ, জেরাপর্ব শেষ হওয়ার পর দুজনকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের টিটেনাসের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।

২ কর্মীর অপহরণের ঘটনায় দ্রুত পাক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বিদেশমন্ত্রক ও ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঈদ হায়দার শাহকে তলব করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কড়া ডিমর্শের মাধ্যমে অবিলম্বে দুজনকে ছাড়তে বলে হয়।

এরপর রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের ভারতীয় দূতাবাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, ২ জন হাঁটতে পারলেও, তাঁদের মুখ, পা, পিঠ ও ঘাড় সহ শরীরে একাধিক জায়গায় প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।