নয়াদিল্লি: রাতভর পাকিস্তানের একের পর এক হামলার চেষ্টা প্রতিহত করার পর গুজরাতে সকাল সকাল কামাল দেখাল বায়ুসেনা। সীমান্তে হামলা চালাতে আসা পাক ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হল। নিখুঁত দক্ষতায় পরপর ৬টি পাক ড্রোন উড়িয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে পাক ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হল।
পরপর ড্রোন হামলা পাকিস্তানের
সূত্রের খবর, রাত বাড়তেই ফিরোজপুর-সহ পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরে পরপর ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। সূত্রের খবর, এই সব ড্রোনগুলির অনেক গুলিই ছিল অস্ত্রবাহী, যেখান থেকে সরাসরি আঘাত হানা যেতে পারে। সেই সব ড্রোনগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দিল ভারতীয় সেনা।
২৬টি জায়গায় পাক-ড্রোন
শুক্রবার সীমান্ত এবং LOC সহ ২৬টি জায়গায় পাক-ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতের আকাশসীমায়। বারামুলা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, জম্মু সহ একাধিক জায়গায় পাক-ড্রোন ঢুকে পড়ে। ছোড়া হয় শেল। গোলাগুলি বর্ষণ করে সাধারণ নাগরিকদের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করে পাকিস্তান।
এদিন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, "পাকিস্তান শনিবার সকালে রাজৌরি শহরে গোলাবর্ষণ করেছে, অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজ কুমার থাপা নিহত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে..."। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাজকর্ম রীতিমতো উস্কানিমূলক এবং তার জন্যই উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে । '
ভেঙে পড়া ড্রোনের ধ্বংসাবেশেষে জখম একাধিক
এরইমধ্য়ে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে পাকিস্তান ড্রোন হামলার চেষ্টা করলেও, সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেয় ভারত। কিন্তু ভেঙে পড়া ড্রোনের ধ্বংসাবেশেষে জখম হন বেশ কয়েকজন। বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজৌরির একাধিক বাড়ি। উরির অবস্থাও ভয়াবহ। একের পর এক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং-এর ব্যাখ্যা
এদিন বিদেশমন্ত্রক ও সেনার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ভেবেচিন্তে জবাব দিয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র নির্ধারিত সামরিক ঘাঁটিগুলিকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, যেমন ভারতের S-400 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বা সুরাটগড় এবং সিরসা বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত স্পষ্টভাবে এই মিথ্যা দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কী জানালেন ?
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানি সেনা ভারতের পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েই যাচ্ছে। পাকিস্তানি সেনা ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র, যুদ্ধ অস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলির ক্ষতি করতে চাইছে। তারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি ২৬টিরও বেশি স্থানে বিমান অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনা বেশিরভাগ হামলার চেষ্টাই সফলভাবে রুখে দিতে পেরেছে। পাকিস্তান পাঞ্জাবের বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রাত ১:৪০নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। উদ্বেগের বিষয় হল,পাকিস্তান তাদের কার্যকলাপ লুকানোর জন্য সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।