নয়াদিল্লি: শত্রুদের হারাতে আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রাগার। বালাকোটের মতো হানার জন্য ভারতীয় সেনায় (Indian Army) সামিল হবে ১০০-রও বেশি স্কাইস্ট্রাইকার ড্রোন ('SkyStriker' drones)। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানির সঙ্গে এই বিস্ফোরক ল্যাডেন ড্রোন তৈরির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। 


গত ১ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর কোম্পানি আলফা ডিজাইন লেড জয়েন্ট ভেঞ্চার  'Alpha Design-led joint venture' (JV) ও ইজরায়েলের এলবিট সিকিউরিটি সিসি সিস্টেমস 'Elbit Security Sysy Systems'(ELSEC)-এর সঙ্গে ১০০কোটি টাকার এই ড্রোন তৈরির চুক্তি সম্পাদিত হয়। 


উন্নত প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে ড্রোনে ('SkyStriker' drones enabled with latest technology) 
ইজরায়েলের এলবিট সিস্টেমের ওয়েবসাইট বলছে, কম খরচে জোরদার হামলার ক্ষমতা রাখে এই স্কাইস্ট্রাইকার ড্রোন। যা মানুষ ছাড়াই লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে সক্ষম। এমনকী বিস্ফোরক নিয়ে আঘাত হানতে পারদর্শী এই ল্যাডেন ড্রোনগুলি। যা অনেক দূর থেকে শত্রুপক্ষের ওপর নিখুত নিশানায় বিস্ফোরণ করতে সক্ষম। এই ড্রোনের ওপর সহজেই অস্ত্র বা বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া সম্ভব। 'মাস ডেসট্রাকটর' হিসাবে এই ড্রোনগুলিকে কাজে লাগাবে ভারতীয় সেনা। ১০ মিনিটে ২০ কিলোমিটার যেতে সক্ষম এই 'SkyStriker' drones।


স্কাইস্ট্রাইকার ড্রোনের বিশেষত্ব (SkyStriker drones speciality)
ড্রোনের মধ্যে ৫ কেজির ক্ষেপনাস্ত্র বা বিস্ফোরক বহনে সক্ষম এই স্কাইস্ট্রাইকার।
ওপারেটরের নির্দেশ মেনে নিখুত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন।
ওড়ার সময় আওয়াজ কম হওয়ায় নিঃশব্দে শত্রুদের ওপর হামলা চালাতে পারে এই ড্রোন। 'সারপ্রাইজ অ্যাটাকার' হিসাবে ধরা হয় এই স্কাইস্ট্রাইকারকে।
১০ মিনিটে ২০ কিলোমিটার যেতে সক্ষম এই 'SkyStriker' drones।


ড্রোনের বিষয়ে আলফা ডিজাইনের সিএমডি প্রাক্তন কর্নেল এইচএস শঙ্কর জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষের ওপর আঘাত হানার আগে জিপিএস বা লোকেশন ডিটেইলস লোড করে দেওয়া হবে ড্রোনে। পরে সেই অনুযায়ী টার্গেট খুঁজে বের করবে স্কাইস্ট্রাইকার। পরবর্তীকালে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলারকে সেই তথ্য দেবে ঘাতক ড্রোন। একবার কন্ট্রোলার সবুজ সংকেত দিলেই আঘাত হানবে বিপক্ষের নিশানায়।