নয়াদিল্লি: সৌদি আরব সরকার বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ অতিমারীর দাপটে হজ করতে আন্তর্জাতিক তীর্থযাত্রীদের অর্থাত পূণ্য লাভের আশায় বাইরের সব দেশের লোকজন ঢোকায় যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাকে সম্মান করছে ভারত, তাই এ বছর ভারতীয় মুসলিমরা হজে তীর্থ করতে সেদেশে যাবেন না। এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।
নকভি ট্যুইট করেছেন, করোনা অতিমারীর মারাত্মক চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সাধারণ মানুষের শরীর, স্বাস্থ্য, মঙ্গলের বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি আরব সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছি আমরা। ঠিক হয়েছে, ভারতের মুসলিমরা হজ করতে এবার সৌদি আরব যাবেন না।
২০২০-র হজের জন্য় মোট ২১৩০০০ আবেদন এসেছে, আবেদনকারীদের জমা দেওয়া পুরো অর্থ এক পয়সা না কেটেই ফেরত দেওয়া হবে, তার প্রসেস চলছে বলেও জানান তিনি।


একইসঙ্গে নকভি জানান, ২৩০০-র বেশি মহিলা পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ২০২০র হজে যেতে আবেদন করেছিলেন। তার ভিত্তিতে ২০২১- এর হজযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে তাঁদের। পাশাপাশি পুরুষ সঙ্গী বাদে ২০২১এর হজযাত্রার জন্য আবেদন করা মহিলারাও অনুমতি পাবেন। ২০১৮ সালে মোট ৩০৪০ জন মহিলা পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সৌদি আরবে হজ করতে গিয়েছিলেন বলে জানান নকভি। মহিলারা কোনও পুরুষ সঙ্গে না থাকলেও হজযাত্রায় যেতে পারবেন, এটা সুনিশ্চিত করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সৌদির হজ ও উমরাহ সংক্রান্ত মন্ত্রী মহম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনটেনের সঙ্গে টেলিফোনে তাঁর কথা হয়েছিল, তিনিই চলতি বছর করোনা অতিমারীর জন্য ভারত থেকে তীর্থযাত্রী না পাঠানোর কথা বলেছিলেন বলে জানান নকভি। বলেন, সেই সিদ্ধান্তকে আমরা মান্যতা দিয়েছি। ঠিক হয়, এবার ভারত থেকে কেউ সৌদি আরব যাবেন না।
সংখ্যালঘু মন্ত্রক এ বছর হজযাত্রার জন্য ব্যাপক বন্দোবস্ত করেছিল। তারা ১৬০ কোটি টাকা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়াকে। তিনটি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া, সৌদি অ্যারাবিয়ান ইন্ডিয়ান ও ফ্লাইন্যাসকে বাছাই করা হয়।
সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যে ২০১৯ এর ১ ডিসেম্বর হজযাত্রা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
.