নয়াদিল্লি: সাধারণ এসি ৩ টায়ার কামরার থেকে আরও কম ভাড়া হবে এসি ৩ টায়ার ইকোনমি ক্লাসের(AC 3-tier economy class)। রেলের (Indian Railways)তরফে জানানো হয়েছে, ৮ শতাংশ কম ভাড়ায় আরামদায়ক এয়ার কন্ডিশনে যাত্রা করতে পারবেন প্যাসেঞ্জাররা।


ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া( Fare of new AC 3-tier economy class)


রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন এই এসি কামরার ভাড়া সাধারণ মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার ক্লাসের বেস প্রাইসের ২.৪ গুণ হবে। ইতিমধ্যেই ৫০টি এসি ইকোনমি ক্লাসের কামরা বিভিন্ন রেলওয়ে জোনে পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে , ভাড়া নির্ধারণ হয়ে যাওয়ায় এখন মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে কামরাগলি জুড়ে দেওয়া হবে। তবে এই ক্ষেত্রে স্লিপার ক্লাস কামরার পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে এই নতুন এসি ইকোনমি ক্লাসের কামরা।


নতুন কামরায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটারের জন্য যাত্রীদের বেস ফেয়ার রাখা হয়েছে ৪৪০টাকা। এটাই কিলোমিটার অনুযায়ী যাত্রীদের ক্ষেত্রে সবথেকে কম ভাড়া চার্জ করবে রেল। তবে যাত্রীদের (৪,৯৫১-৫০০০ কিমি) যাত্রাপথ যাওয়ার হলে তাঁর ভাড়া হবে ৩০৬৫ টাকা। যা এসি ইকোনমি ক্লাসে সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যেই নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়েজে এই নতুন কামরা জুড়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।


সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ থেকেই শুরু হবে এসি ৩ টায়ার ইকোনমি ক্লাসের যাত্রা। (০২৪০৩ প্রয়াগরাজ -জয়পুর এক্সপ্রেস) দিয়েই এসি ইকোনমি ক্লাসের যাত্রা শুরু হতে পারে। শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে টিকিট বুকিং। নতুন এই কামরাগুলিতে ৮৩টি বার্থ থাকবে। 3AC economy mail/express/superfast কামরায় সাধারণের মতোই শিশুদের ভাড়া দিতে হবে। 


ভারতীয় রেলের ইতিহাস বলছে, আগেও এসি ইকোনমি ক্লাস শুরু হয়েছিল দূরপাল্লার ট্রেনে। সেবার গরিব রথের নামে চলেছিল সেই ট্রেন। যদিও সেই প্রকল্পে সাফল্যের মুখ দেখেনি রেল। মূলত , মাঝের বার্থ বাড়িয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে হয়েছিল অহরহ। 


তবে এবার বিষয়টি মাথায় রেখেছে রেল। কাপুরতলায় নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে এসি ইকোনমি ক্লাসের কোচ। যেখানে প্রত্যেক বার্থের জন্য এসির হাওয়া পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ভেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন বার্থ ও সিটে দেওয়া হয়েছে মডিউলার ডিজাইন। যেখানে রয়েছে ভাঁজকরা টেবিলের সুবিধা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা ভেবে প্রত্যেক বার্থে পড়ার জন্য আলো ও মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। কামরায় যাতে হাঁটাচলায় সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।