নয়াদিল্লি: দোল ও হোলির (Holi Rush) মরশুমে প্রতিবছরই চাপ বাড়ে রেলের (Indian Railways)। এই উৎসবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেতে উঠতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করেন। যাঁদের বেশিরভাগই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন রেলকেই। আর প্রতিবছরই মানুষের ভিড় সামলাতে (Crowd controlling) ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন রেল আধিকারিকরা থেকে শুরু করে এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা। অনেক সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অতিরিক্ত ট্রেন চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় ভারতীয় রেলওয়ের তরফে।


বৃহস্পতিবার দোলের মরশুমে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল ভারতীয় রেলওয়ে মন্ত্রকের (Ministry of Railways) তরফে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, দোলের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ৫৪০টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনগুলি দেশের বিভিন্ন বড় স্টেশনগুলি পর্যন্ত চালানো হবে বলেও জানানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে। উল্লিখিত রুটগুলি হল- দিল্লি-পাটনা, দিল্লি-ভাগলপুর, দিল্লি-মুজাফ্ফরপুর, দিল্লি-সহর্সা, গোরখপুর-মুম্বই, কলকাতা-পুরী, গুয়াহাটি-রাঁচি, নিউদিল্লি-শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা, জয়পুর-বান্দ্রা টার্মিনাস, পুনে-দানাপুর, দুর্গ-পাটনা, বারাবনী-সুরাট-সহ অন্যান্য।


রেল মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গেছে, গত বছরের থেকে এবারে দোল উৎসবে আরও ২১৯টি-র বেশি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। এছাড়া অসংরক্ষিত টিকিট কেটে যে যাত্রীরা ওই বিশেষ ট্রেনগুলিতে যাত্রা করবেন তাঁদের নিয়ন্ত্রণের রাখার জন্য টার্মিনাস স্টেশনগুলিতে আরপিএফ কর্মীদের (Railway Protection Force) কড়া নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসংরক্ষিত কামরাগুলিতে মলাতে ও যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে প্রচুর আরপিএফ (RPF) মোতায়েনও করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।


বড় স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে মোতায়েন করা হচ্ছে । পাশাপাশি আধিকারিকদেরও জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন বড় স্টেশনে মোতায়েন করা হবে। যাতে সঠিক ভাবে ট্রেনের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে,বিশেষ ট্রেনগুলিকে যেন  গুরুত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে ও সঠিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়া হয় ও তার ঘোষণা যাতে যাত্রীরা শুনতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়। রেলের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই খুশির হাওয়া যাত্রীমহলে। এর ফলে অনেকে স্বাচ্ছ্যন্দে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি এর ফলে রেলের ভাঁড়ারেও বেশ কিছু অর্থ আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন: চুল, ত্বকের ক্ষতির ভয় নেই, ঘরেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক রং, রইল সহজ রেসিপি