কলকাতা: দোলযাত্রা মানেই আবির খেলা আর আনন্দের উৎসব। কিন্তু আনন্দ পুরোপুরি ধরে রাখতে হলে জরুরি সচেতনতাও। বাজারে যে ধরনের রং পাওয়া যায়, তা থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি চুল ও স্বাস্থ্যের অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। তবে প্রাকৃতিক রঙে সেই ভয় নেই। কিন্তু প্রাকৃতিক রং বললেই পাওয়া যায় না। এই ধরনের রঙের দাম বেশি হয়। আবার ঘরে বানানোর কায়দাও অনেকেই জানেন না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী অসীমকুমার চ্যাটার্জি দেখিয়ে দিলেন সেই কায়দা। বেশ কয়েকটি রঙের আবির বানিয়ে দেখালেন এবিপি লাইভ বাংলাকে। বলে দিলেন বানানোর সেরা কায়দাও ।
ঘরেই প্রাকৃতিক রং তৈরি করার রেসিপি (Eco-friendly Holi Colors Recipe)
সবকটি রং তৈরি করতেই প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন ট্যালকম পাউডার ও অ্যারারুট। এবার রং বিশেষে এক একরকম উপাদান জরুরি।
হলুদ রং - হলুদ রং তৈরি করতে প্রয়োজন হলুদ পলাশ ফুল। এই পলাশ ফুলের সঙ্গে কিছু নিম পাতাও অল্প পরিমাণে মিশিয়ে দিতে হবে। এতে রংয়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আরো বাড়বে। প্রথমে একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে হলুদ পলাশ, কিছু নিমপাতা, অল্প হলুদ গুঁড়ো, তিনভাগ ট্যালকম পাউডার ও একভাগ অ্যারারুট মেশাতে হবে। এবার পুরো মিশ্রণ মিক্স করে নিলেই তৈরি হলুদ রং (eco friendly holi colors)। একই ভাবে মিক্সারে হলুদ গাঁদা ফুল নিয়েও হলুদ রং বানানো যায়।
বেগুনি রং - এর জন্য লাগবে গোলাপ ফুল।ফুলের পাপড়ি প্রথমে ছিঁড়ে জড়ো করে নিন। এবার সেই পাপড়ি মিক্সারে নিয়ে তাতে তিনভাগ ট্যালকম পাউডার ও একভাগ অ্যারারুট মেশাতে হবে। এবার পুরো মিশ্রণ মিক্স করে নিলেই তৈরি বেগুনি রং।
নীল রং - অপরাজিত ফুল লাগবে এই রং তৈরি করতে। এর জন্য প্রথমে বোঁটা ছাড়িয়ে কিছু ফুল মিক্সারে নিতে হবে। এর পর এতে তিনভাগ ট্যালকম পাউডার ও একভাগ অ্যারারুট মেশাতে হবে। এবার পুরো মিশ্রণ মিক্স করে নিলেই তৈরি নীল রং।
সবুজ রং - সবুজ রং তৈরি করতে লাগবে হলুদ গাঁদা ফুল ও নীল অপরাজিতা ফুল। এর মধ্য় অল্প হলুদ গুঁড়ো দিয়ে তিনভাগ ট্যালকম পাউডার ও একভাগ অ্যারারুট মেশাতে হবে। এবার পুরো মিশ্রণ মিক্স করে নিলেই তৈরি সবুজ রং।
অসীমবাবু এবিপি লাইভ বাংলাকে জানান, যে কেউ বাড়িতেই এই রং তৈরি করতে পারেন।
রং তৈরি করার পর…
- প্রাথমিকভাবে রং তৈরি করার পর এটি রোদে শুকোতে দিতে হবে। তাই আবহাওয়া দেখে তৈরি করা ভাল যাতে একদিনে শুকিয়ে যায়।
- এর পর দিন পাঁপড়িগুলোর যেটুকু অংশ ব্লেন্ড হয়নি, সেটুকু ছাঁকনির সাহায্যে আলাদা করে নিন। কারণ পাঁপড়ি বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। যা রঙের মধ্য়ে দলাভাব এনে দিতে পারে।
- এর পর দিন প্যাক করা যাবে রং। চাইলে এর মধ্যে এসেন্স দিয়ে প্যাকেট করে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন - Holi 2024: নানা রঙে খেলা, হোলির নানা নাম; ফাগুয়া থেকে মশান