তিনি বলেছেন, আগামী এক দেড় বছর ভারতীয়দের করোনা নিয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। সংস্থাগুলিকে আরও সাবধান হতে হবে, সব মিলিয়ে ভারতীয়দের আরও বেশি করে পরিশ্রম করতে হবে, যাতে অর্থনীতি আবার পুরনো জায়গায় ফিরে আসে। সংস্থাগুলির তথ্যের ওপর নির্ভর করে বিশ্লেষণ করা উচিত, কোন জায়গায় করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সব থেকে বেশি। তারপর সেইমতো তৈরি করা উচিত কারখানা। বয়স্কদের এই রোগে সব থেকে বেশি সঙ্কট তাই কোম্পানিদের ভাবতে হবে, কীভাবে কর্মীদের আরও ভালভাবে রক্ষা করা যায়। গাউন, দস্তানা, মাস্ক, গগলস- যা দেওয়ার দেওয়া হোক তাঁদের। বয়স্করা কাজ করুন বাড়ি থেকে। এ ব্যাপারে কারও মতামত নয়, নির্ভর করা হোক তথ্যের ওপর।
তিনি বলেছেন, যদি দিনে এক লাখ মানুষেরও করোনা পরীক্ষা হয়, তবে সবার পরীক্ষা শেষ হতে হতে ৩৭ বছর কেটে যাবে। তাই ভারতীয়দের উচিত, আগামী এক দেড় বছর এই রোগের সঙ্গে কাটানোর ব্যাপারে মনকে মানিয়ে নেওয়া। আর লকডাউনের ফলে বেহাল অর্থনীতিকে ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে আমাদের সপ্তাহে ৬ দিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে আগামী ২-৩ বছর। তাহলেই অর্থনীতি দ্রুত আগের জায়গায় ফিরে আসবে। সরকারেরও উচিত, সম্মানীত অভিজ্ঞ মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা, যারা দেখবে কীভাবে সব রকম সমস্যা দূর করে সহজে ব্যবসা করা যায়, ১৯৯১-এর আর্থিক সংস্কারের সময় যেমনটা ঘটেছিল।
মুর্তি আরও বলেছেন, ছোট কোম্পানি আর স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ করার নীতি প্রণয়ন করতে হবে। এর ফলে আগামী ৩-৬ মাস তাদের পক্ষে কাজ করা সহজ হবে। এগুলো আগেই করা উচিত ছিল, তবে এখনও খুব একটা দেরি হয়নি। তিনি বলেছেন।