নয়াদিল্লি: মানব শরীরে প্রথম দফার টিকা পরীক্ষা শেষ। শিগগিরই শুরু হবে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার কাজ। প্রথম দফার পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন পুরোপুরি নিরাপদ, কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেই কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।


প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা প্রয়োগের আগে স্বেচ্ছাসেবকদের ৩ থেকে ৭ দিন ধরে একটি স্ক্রিনিং প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগের পর নেওয়া হয়েছে রক্ত। এর ১৪ দিন পর দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ, তারপর আবার রক্ত নেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন ভুবনেশ্বরের আইএমএস অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালে এই টিকা পরীক্ষার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ই ভেঙ্কটা রাও।

স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর থেকে গৃহীত রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকর। রাও জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার পর স্বেচ্ছাসেবকরা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন, কারও শরীরে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর দেশের ১২টি চিকিৎসা কেন্দ্রে এই করোনা টিকার মানব শরীরে পরীক্ষা চলছে, আইএমএস অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতাল সেগুলির অন্যতম। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে এই টিকা। টিকা প্রয়োগের ২৮, ৪২, ১০৪ এবং ১৯৪তম দিনেও স্বেচ্ছাসেবকদের রক্ত নিয়ে টিকার কার্যকারিতা প্রয়োগ করে দেখা হবে, ভেঙ্কটা রাও জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, দেশীয় এই টিকার দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার অংশ হতে মানুষের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখা গিয়েছে। যাঁরা এতে যোগ দিতে চান, তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন http://ptctu.soa.ac.in সাইটের মাধ্যমে।