নয়া দিল্লি: দায়িত্ব ছিল বিমানের মধ্যে যাত্রীদের লাগেজ গুছিয়ে রেখে নেমে যাবেন, কিন্তু যখন চোখ খুললেন দেখলেন বিমানের পেটের মধ্যে বন্দি তিনি। বন্ধ কার্গোর দরজা। শত চিৎকারে শোনার লোক নেই। এ কোনও সিনেমার দৃশ্য না। একেবারে রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স।
জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি মুম্বাই-আবু ধাবি ফ্লাইটের কার্গোতে লাগেজ ভর্তি করতে এসেছিলেন ইন্ডিগোর এক কর্মী। এই কাজ করতে এসেই বিপাকে পড়ে যান। তাঁকে নিয়েই মুম্বই থেকে আরব আমিরশাহী পৌঁছে গিয়েছে উড়ানটি। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেখানে নিরাপদেই পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। বিমানে লাগেজ লোড করার পর রবিবারের ফ্লাইটে প্রাইভেট ক্যারিয়ারের একটি লোডার কার্গো বগিতে লাগেজের পিছনে ঘুমিয়ে পড়েন ওই কর্মী।
ডিজিসিএ-এর তরফে জানান হয়, মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ওড়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় কার্গোর দরজা। সেই সময়ই সম্বিৎ ফেরে ওই কর্মীর। কিন্তু ততক্ষণে যা অঘটন ঘটার ঘটে গিয়েছে। বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অবতরণ করার পরে, আবুধাবি কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে ওই কর্মীকে। এরপর তাঁর একটি মেডিকেল পরীক্ষা। কত ঘণ্টা কার্গোয় বন্দি থাকার জন্য শারীরিক ধকল পড়লেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানান হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় তাঁর সব রিপোর্ট স্বাভাবিক এসেছে।
আরও পড়ুন, কাগজহীন হতে চলেছে এই দেশ, নতুন সিদ্ধান্তে সাশ্রয় কয়েক কোটি টাকা
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) অফিসাররা জানিয়েছেন, আবুধাবিতে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পরে, তাঁকে একই বিমানে যাত্রী হিসাবে মুম্বাইতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিমান সংস্থার কর্মীদের তদন্তের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে। অনেককেই বহিষ্কারও করা হয়েছে এই ঘটনায়। কীভাবে একজন কর্মী আটকে রইল সেখানে? তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্ডিগোর একজন মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি এবং প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।"