নয়াদিল্লি: এবার মাটি কাঁপল ইন্দোনেশিয়ার। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূল ভাগে পাপুয়ায় আঘাত হানে ভূমিকম্প। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সমুদ্রের পাশে থাকা একটি ক্যাফে ধূলিসাৎ হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আর কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা তা দেখার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে। 


এবার আফটারশক?
ইন্দোনেশিয়ার মিটিওরোলজি, ক্লাইমেটোলজি এবং জিয়োফিজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার জয়াপুরা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্প আঘাত করে। একাধিক আফটারশকের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.৫ এর আশেপাশে ছিল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে পাওয়া খবর, ভূমিকম্প টের পেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়।


প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নিবলয় (Pacific Ring of Fire)-এলাকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এই এলাকায় এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। Tectonic Plate-এর অবস্থানের কারণে প্রায়শই ভূমিকম্প হয় এই এলাকায়। ইন্দোনেশিয়া এমন একটি জায়গা যা জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপুল সংখ্যক মানুষেরও বসবাস। 


বারবার ভূমিকম্প:
জানুয়ারি থেকেই দফায় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে পাপুয়াতে। ইন্দোনেশিয়ার মিটিওরোলজি, ক্লাইমেটোলজি এবং জিয়োফিজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ২ জানুয়ারি থেকে জয়াপুরা শহর এবং লাগোয়া এলাকায় অন্তত ১০৭৯টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রিখটার স্কেলে। তার মধ্যে অন্তত ১৩২টি এমন ছিল যা বাসিন্দারা টের পেয়েছেন। এই বছরেই ১০ ও ১৬ জানুয়ারিতে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার তানিম্বর দ্বীপপুঞ্জের কাছে পূর্বে তিমোর-লিস্তে এলাকায় ভূমিকম্প হয়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূগর্ভের ১৩০ কিলোমিটার নিচে। তবে কম্পনের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত বেশি। তার আবার পর পর চারটি আফটারশক (Aftershocks) অনুভূত হয়, যার রেশ উত্তর অস্ট্রেলিয়াতেও অনুভূত হয়।            


গত বছর নভেম্বরে একটি বড়সড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ওই এলাকায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৬। ওই ঘটনায় পশ্চিম জাভায় কয়েকশো জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে ২০১৮ সালে ভূমিকম্প ও তার জন্য সুনামি হয়েছিল ওই এলাকায়। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার জনের। তার আগে ২০০৪ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া। তার সঙ্গেই আছড়ে পড়েছিল সুনামি। একাধিক দেশজুড়ে আঘাত হেনেছিল। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক লক্ষ। 


আরও পড়ুন: আদানি প্রশ্নের পাল্টা গান্ধী পরিবারকে নিশানা, নেহরু পদবী ব্যবহারে লজ্জা কেন! বেনজির আক্রমণ মোদির