Operation Sindoor: ইন্দোরের বহু প্রতীক্ষিত মেট্রোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'অপারেশন সিঁদুর'- এর নামে একটি মেট্রো স্টেশনের নামকরণও করা হয়েছে। ভারতের ইতিহাসে মহিলা যোদ্ধা হিসেবে দেবী অহল্যাবাঈ হোলকারের নামে আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেই মারাঠা রানির ৩০০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়েই ইন্দোরের প্রথম মেট্রোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রানি আহল্যাবাঈয়ের মতো বীর যোদ্ধাকে সম্মান জানিয়েই ইন্দোরের মেট্রো স্টেশনের নাম 'অপারেশন সিঁদুর'- এর নামে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলয়াগঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ২৬ জন নিরীহ নিহত হন এই হামলায়। পাল্টা জবাবে ৭ মে মধ্যরাতে প্রত্যাঘাত করেছিল। ভারতীয় নারীদের সিঁদুর কেড়ে নিয়েছিল জঙ্গিদের গুলি। তাই মহিলাদের সম্মানার্থেই ভারতীয় সেনার অভিযানের নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন সিঁদুর'। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। কার্যত পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করেছে ভারত। এবার সেই 'অপারেশন সিঁদুর'- এর নামেই ইন্দোরের প্রথম মেট্রো পরিষেবায় একটি স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে।
ভারতের সবচেয়ে পরিষ্কার শহর বলা হয় ইন্দোরকে। সেখানে প্রথমবারের মতো চালু হল মেট্রো পরিষেবা। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে রানি অহল্যাবাঈ হোলকারের ৩০০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে নারীদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি ইন্দোরের বহু প্রতীক্ষিত মোট্রোর উদ্বোধন করেন তিনি। মেট্রো চালু হতেই সারা ইন্দোর জুড়ে যেন শুরু হয়ে যায় উৎসব। নাচ-গানের মাধ্যমে উদযাপনে মেতে ওঠেন স্থানীয় মহিলারা। দিতে থাকেন স্লোগান, 'ভারত মাতা কি জয়' জয়ধ্বনি। আলো, ফুল সবেতে ঘেরা ইন্দোরের মেট্রো পরিষেবা শুরুর উদযাপন ছিল দেখার মতো।
অপারেশন সিঁদুর
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ধর্মীয় পরিচয় জেনে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের টার্গেট করা হয়। গুলি করে খুন করা হয় ২৫ জন নিরীহ পর্যটককে। আর তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান স্থানীয় এক যুবক, যিনি পেশায় টাট্টু ঘোড়ার চালক ছিলেন। ঘটনার দিন, অন্যান্য সময়ের মতোই নিজের টাট্টু ঘোড়ায় চাপিয়ে পর্যটকদের নিয়ে গিয়েছিলেন 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড' বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে।
এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগ পাওয়া যায় পাকিস্তানের। হামলার দায় স্বীকার করে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। ন্যাক্কারজনক এই জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাব দেয় ভারত। ৭ মে গভীর রাতে প্রত্যাঘাত করা হয়। ২৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।