কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলা বঞ্চিত দিল্লির কাছে। রাজ্যের যে প্রকল্প চলছে, তা বিজেপির কথায় করব কেন? কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি দিয়ে প্রতিমুহূর্তে হয়রানি করে। ৮০ শতাংশ রাজ্যের থেকে নিয়ে রাজা হলাম, হবে না। রাজ্য সরকার কৃষকদের সব ব্যাপারে সাহায্য করে। আমরা ভাল কাজ করছি বলেই খুব হিংসা। বহিরাগত গুন্ডা এসে বলছে গণতন্ত্রে এসব চলতে পারে না। আমফানে শুধু ১ হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দিয়েছে।’


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বই লিখে, গানের সিডি বিক্রি করে আমার চলে যায়। আমফানে অডিট নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছে। রাজ্যের কথা না শুনে কেন্দ্রকে দিয়ে করানো হচ্ছে। রাজ্যকে শুধুই বদনাম করার চেষ্টা চলছে। করোনা মোকাবিলায় কী দিয়েছে, শুধু কয়েকটা ভেন্টিলেটর। আগামীদিনে সবকিছুর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে উত্তর দেব। ভোট আসছে, বাংলাকে তো টার্গেট করবেই। আমি রুশ, ভিয়েতনাম, নাগা, মরাঠিদের ভাষা জানি। যে যে ভাষা জানি, করবেন নাকি চ্যালেঞ্জ? অনেকে টেলিপ্রম্পটারের সাজানো লেখা দেখে ভাষণ দেন। যত বাহিনী আছে, নিয়ে আসুন, পারবেন না।’

রাজ্যে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, ‘২০টি আইটি সংস্থা সিলিকন ভ্যালিতে জমি চেয়েছিল। কর্মসংস্থানের জন্য আগে ১০০ একর জমি দিয়েছিলাম। সিলিকন ভ্যালিতে আরও ১০০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। উইপ্রো রাজ্যে নতুন প্রকল্প শুরু করছে। নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু করবে ইনফোসিস-ও। জলপাইগুড়িতে স্টার সিমেন্টের বড় প্রকল্পের জন্য জমি। বকেয়া খাজনায় জুন পর্যন্ত সুদ দিতে হবে না। সরকারের তরফে ৬১৭টি মেলা, প্রদর্শনী করা হবে। এর ফলে ৩.৬৪ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সরকারি মেলা, প্রদর্শনীতে ১৫৬কোটির কেনাবেচা হবে। স্বচ্ছতা মেনে কাজ করতে হবে, কোথাও পিছিয়ে নেই। ইতিমধ্যেই ৪টি পকসো কোর্ট, আরও ৭টি তৈরি হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০টি পকসো আদালত তৈরির পরিকল্পনা। মাঝেরহাট ব্রিজের নাম বদলে রাখা হচ্ছে জয় হিন্দ ব্রিজ।’