ওয়াশিংটন: জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হবে ৩ হাজার মানুষের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলবে ২ লক্ষ! প্রশাসনের একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।


এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস অতিমারীতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের নাম আমেরিকা। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, সেখানে ১২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।


করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি একেবারে থমকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ৩ কোটি মানুষ বেকার-ভাতার আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে বাঁচাতে লকডাউন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ২ ডজন প্রদেশ।


তার মধ্যেই, প্রশাসনের এই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১ জুন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার মানুষ করোনায় প্রাণ হারাবেন। দৈনিক ২ লক্ষ আক্রান্ত হবেন। দেশে যে সময় করোনা মারণ আকার ধারণ করেছে, তখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি খুলে দেওয়ার ফল ভয়াবহ হবে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।


সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই রিপোর্টের একটি অংশে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) -কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বহু কাউন্টিতে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। যদিও, এই রিপোর্টের অস্তিত্ব খারিজ করেছে সিডিসি। খারিজ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউসও।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন জন হপকিন্স স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর মহামারী বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক জাস্টিন লেসলার। যদিও, তিনি দাবি করেন, যেভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে তা তুলে ধরা হয়েছে, সেই বিষয়ে তার কোনও ভূমিকা নেই। তিনি যোগ করেন, সিডিসি-র নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তথ্যের জন্য তা তৈরি করা হয়েছিল। এটা কোনও পূর্বাভাস নয়। ওই অধ্যাপকের দাবি, তিনি জানেন না, কী করে ওই তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছেছে।


হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, এটা এখান থেকে বের হয়নি। এই রিপোর্ট কেউ করোনা টাস্ক ফোর্সের কাছে পেশও করেনি। ফলে, এটা দিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় না।