নয়া দিল্লি: ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার আশানরূপ হবে না। বরং তা কিছুটা কমবে। এই আশঙ্কার কথাই শুনিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। তারা দেখিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে ভারতে (India) আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। 


এর আগে জুনে বিশ্ব ব্যাঙ্ক আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, তার থেকে ১ শতাংশ কম হতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার। তবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক বলেছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য বেশ কিছু দেশের তুলনায় করোনা পর্বে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার বেশ ভাল।                                 


বিশ্বে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে অশনি সঙ্কেত ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (International Monetary Fund)-এর সমীক্ষায়। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেতে পারে। শুধু তাই নয়, ঘুরে দাঁড়ানোর আগে আরও কিছুটা কমতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, আশঙ্কা IMF-এর। এর জন্য রাশিয়ার ইউক্রেনে সেনা অভিযানকে মূলত দায়ী করা হয়েছে। পাশাপাশি, করোনা পর্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও পরিবেশ দূষণের প্রভাবকেও  দায়ী করা হয়েছে।                         


আরও পড়ুন, ভারতে তৈরি কাশির সিরাপে রয়েছে এই ক্ষতিকর রাসায়ানিক উপাদান? সতর্ক করল হু


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারত, ঋণে সুদের হার বাড়াছে প্রায় প্রতিটি দেশ। এর পিছনে লক্ষ্য হল, বাজারে সস্তায় অর্থের সরবরাহ রোধ করা। এটি মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে। কিন্তু এই ধরনের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ করারও ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, এই প্রবণতা চলতে থাকলে তাতে দীর্ঘস্থায়ী পরিণতি হতে পারে। এর ফলে বাণিজ্যক্ষেত্র ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে সাংঘাতিক প্রভাব পড়তে পারে।


এদিকে, গত অগস্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তৃতীয়বারের জন্য রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে। এক ধাক্কায় তা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে (৫.৯০%)। আরবিআই ২০২২-২৩-এ মূল্যস্ফীতির অনুমান ৬.৭% বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২% বলে ঘোষণা করেছে। রতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বাড়ানোর পর অনেক ব্যাঙ্কই তাদের ঋণে সুদের হার বাড়িয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও তার ঋণ এখন আরও ব্যয়বহুল করেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের পথে হেঁটেছে দেশের আরও কিছু ব্যাঙ্ক।