নিউ ইয়র্ক : আমেরিকা সফরের দ্বিতীয় দিনে যোগের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের বিল্ডিংয়ে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখান থেকে সরকারিভাবে তাঁর সফর শুরু হবে।


রাষ্ট্রসংঘের বিল্ডিংয়ের উত্তর লনে আয়োজিত যোগ-এর অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজ্ঞান, কলা, বিনোদন জগতের মানুষরা। ছিলেন কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্ত ক্ষেত্রের মানুষজন ও রাজনৈতিক নেতারা। সেই তালিকায় ছিলেন নিউ ইয়র্কের মেয়র। তিনবারের গ্র্যামিজয়ী রিকি কেজ, সংগীত জগত থেকে ফাল্গুনি শাহ, অভিনেতা রিচার্ড গেয়ার, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং রাষ্ট্রসংঘের একাধিক আধিকারিক। রাষ্ট্রসংঘের এই যোগ অনুষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কী কারণে ? কারণ, এক সঙ্গে এতগুলো দেশের মানুষ একযোগে যোগ করলেন, সেই নিরিখে। আজ ১৩৫টি দেশের মানুষ যোগে শামিল হন। যা একপ্রকারের রেকর্ড। এর আগে ১১৪টি দেশের মানুষ একসঙ্গে যোগ করেছিলেন। 


এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যোগ স্বত্ত্ব-মুক্ত। এটা জীবনযাপনের একটা পদ্ধতি। যোগ খুব নমনীয় একটি বিষয়। আপনি একাও চর্চা করতে পারেন। আবার দলগতভাবেও। কোনও শিক্ষকের কাছে শিখতে পারেন বা নিজে নিজেও শিখতে পারেন। এটি সমন্বয় সাধন করতে পারে, সত্যি করেই এটা গোটা বিশ্বের। এটা সব জাতিসমূহ, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির জন্য।"


যোগ-পর্ব শেষে তাঁর ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা। সেখানকার অ্যান্ড্রু এয়ার বেসে তাঁকে স্বাগত জানাবেন ভারতীয় প্রবাসীরা। শিল্প জগতের একাধিক ব্যক্তিত্ব ও সিইও-র সঙ্গে দেখা করে ওয়াশিংটন-পর্ব শেষ করবেন মোদি। বৃহস্পতিবার রাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। থাকবে বাইডেনের পরিবারও। পরে ওভাল অফিসে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেবেন। সন্ধেয় ইউএস কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন। যা বিশ্বের রাষ্ট্র নেতাদের কাছে একটা বিরল সম্মান।


গতকালই নিউ ইয়র্কে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে প্রবাসী ভারতীয়রা বিশাল উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে স্বাগত জানান। পরে নোবেলজয়ী, শিক্ষাবিদ, শিল্প জগতের মানুষ, লেখক, গণীতজ্ঞ ও চিকিৎসা জগতের মানুষদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন মোদি। সেই বৈঠকের পর মোদি ট্যুইট করেন, "একদল বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। নীতি নির্ধারণের বিভিন্ন দিক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রবণতা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের ইতিবাচক দিকগুলি তাঁদের কাছে তুলে ধরেছি। কীভাবে আমাদের যুবসমাজ তা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি সেকথাও বলি।"