নয়া দিল্লি: সংঘাত কমার তো কোনও লক্ষণই নেই। বরং আরও কঠিন হচ্ছে ইরান-ইজরায়েল পরিস্থিতি। ইরানে তৈলখনিতে ইজরায়েলের একের পর এক হামলার পর ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু মিসাইল নয়, ইজরায়েলে ড্রোন হামলাও চালিয়েছে ইরান। বিরাট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে এলাকা। ইরানের নতুন করে হামলার পর জেরুজালেম এবং তেল আভিভে জুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে। ইরানের রেভিলিউশনারি গার্ডের তরফে জানান হয়েছে, ইরানের বাহিনী ইজরায়েলের জ্বালানি অবকাঠামো কেন্দ্র এবং যুদ্ধবিমানের জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ-সুবিধাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে। 

দুই দেশেই সাইরেন আর বিস্ফোরণের শব্দ। পরিস্থিতিতে হাতে প্রাণ নিয়ে দৌড়চ্ছেন দু' দেশের সাধারণ মানুষ। এদিকে, এই পরিস্থিতিতেও একে অপরকে কড়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইরান-ইজরায়েল। হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, বুঝে নেওয়ার। শেষ দেখার। ভারতীয় সময় রবিবার রাতেও দু' দেশ একে অপরের উপর মিসাইল ছুঁড়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেহরানের শাহারান প্লান্ট ও আরও একটি জ্বালানি ভাণ্ডারে দাউদাউ করে আগুন ধরে গিয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল রাতে ইরানের প্রথম হামলায় তিনজনের মৃত্যু ও ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস জানিয়েছে, ইরান ঠিক কোথায় কোথায় হামলা চালিয়েছে সে দেশের। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ সাইরেনের শব্দে দৌড়চ্ছেন নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের জন্য। গতকাল রাতে জেরুজালেম, তেল আবিবে ঘনঘন বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। পরে ইরান জানায়, গভীর রাতে তারাও ইজরায়েলে মিসাইল হামলা করেছে। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, ইরান জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। 

অন্যদিকে, গতকাল রাতের হামলায় ইরানের একাধিক জ্বালানি ভাণ্ডারে আগুন ধরে গিয়েছে। এর আগে ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছিল ইজরায়েল। কয়েক ঘণ্টা বিরতির পর আবারও পাল্টা হামলা চালাল তারা। ইরানের সামরিক বাহিনীর মূল ঘাঁটি সহ একাধিক জায়গায় মিসাইল হামলা করা হয়েছে।  

এর আগে, ইরানের দক্ষিণে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। এ ঘটনার পর গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে সেখানে।