নয়াদিল্লি : ভূতলে গোপন আস্তানা। নিরাপদও ছিল। এবার ইরানের সেই নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে আঘাত হানল ইজরায়েল। মঙ্গলবার এই তথ্য সামনে এনেছে রাষ্ট্রসংঘের নিউক্লিয়ার বডি। এর আগে মনে করা হচ্ছিল, ভূ-পৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত হওয়ায় এই টার্গেটে আঘাত করতে সফল হবে না ইজরায়েল। কিন্তু, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি বা IAEA জানাচ্ছে যে, নাতাঞ্জ ইউরেনিয়াম প্ল্যান্টের মাটির তলদেশ অংশ সরাসরি আঘাত করেছে ইজরায়েল। 

IAEA-র তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, "শুক্রবারের হামলার পর সংগৃহীত হাই-রেজোলিউশনের স্যাটেলাইট ছবির ক্রমাগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, IAEA আরও কিছু উপাদান চিহ্নিত করেছে যা নাতাঞ্জের ভূগর্ভস্থ সমৃদ্ধকরণ হলের উপর সরাসরি প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়।" তাদের সংযোজন, ইরানের আরও দুটি বড় পরমাণু কেন্দ্র Isfahan ও Fordow নিয়ে "রিপোর্টের কোনও পরিবর্তন নেই।" পরিস্থিতি এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে IAEA। কিন্তু, উভয় দেশের মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায়, এই মুহূর্তে IAEA-র আধিকারিকরা ঘটনাস্থল সরাসরি পরিদর্শন করতে সক্ষম হচ্ছেন না। এই মুহূর্তে স্যাটেলাইটের হাই-রেজোলিউশনের ছবি খতিয়ে দেখা পরিস্থিতি কতটা গুরুতর তা বিবেচনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গ্রাউন্ড জিরোয় উপস্থিত থাকা সূত্র থেকেও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা, ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল, প্রত্যাঘাত ইরানেরও। তেহরানে জোড়া F-14 ফাইটার জেট ধ্বংস করল  ইজরায়েল। বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই। গতকাল তেহরানে সরকারি চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার চলাকালীন হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। পাল্টা ইজরায়েলের হাইফায় বিদ্যুৎ প্রকল্প উড়িয়ে দিল ইরান। 'মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দেব, মধ্যপ্রাচ্যের ক্যানসার ইরান', হুঙ্কার দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এককথায়, পঞ্চম দিনে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের আঁচ সপ্তমে ! এখনও দুই দেশ থেকে পরস্পরের দিকে উড়ে যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল, ড্রোন ! ইজরায়েলের তেল আভিভ, জেরুজালেম, বাট ইয়াম, বিনেই ব্রাক-সহ একাধিক শহরে আছড়ে পড়েছে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল। হাইফা তৈল শোধনাগারে আঘাত হেনেছে ইরানের মিসাইল। ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হেডকোয়াটার্সকেও টার্গেট করেছে ইরান ! জবাবে তেহরানের কমান্ড সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইজরায়েল। সেখানে নিহত হয়েছেন সদ্য সেনা প্রধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আলি শাদমানিও। যিনি এই মুহূর্তে ইরানের সবচেয়ে সিনিয়র কমান্ডার এবং ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।