নয়াদিল্লি : ইরানের সামরিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য দাবি করেছে ইজরায়েল। কিন্তু, ইজরায়েলের অস্ত্রভাণ্ডার কি এবার ফুরাচ্ছে ? দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েল দ্রুত তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের সরবরাহ কমিয়ে ফেলছে। যা তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে। আমেরিকার এক পদাধিকারী সূত্রে এই তথ্য সামনে এসেছে।
গত শুক্রবার 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' শুরু করে ইজরায়েল। তারপর থেকে ইরান ও ইজরায়েল একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চলেছে। খবর অনুযায়ী, ইরানের নিরাপত্তাবাহিনী এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে। যা ইজরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আনুমানিক ২০০০ অস্ত্রাগারের অংশ। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে উচ্চতা-বিশিষ্ট ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করার জন্য তৈরি অ্যারো সিস্টেম, তাদের দিকে ধেয়ে আসা বেশিরভাগ প্রজেক্টাইলকে ধূলিসাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য চাপ ছাড়াই নয়।
এই পরিস্থিতিতে তেল আভিভের আধিকারিকরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানের আকাশে আধিপত্য অর্জন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবুও, গোয়েন্দা সূত্রগুলি সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুতের অর্ধেকেরও বেশি অক্ষত রয়েছে। যার একটি অংশ সম্ভবত ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, নিত্যদিন ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে ইরান। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্সের ভাণ্ডারের উপর মারাত্মক চাপ তৈরি হয়েছে। এখন আমেরিকা থেকে যদি দ্রুত এর জোগান না দেওয়া হয় বা আমেরিকার সরাসরি না মধ্যস্থতা করে, তাহলে ইজরায়েল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আর বড়জোর ১০-১২ দিন আটকাতে পারবে । ওই সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে হয়ত এবার থেকে বেছে বেছে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে।
ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত চাপের মুখে পড়তে শুরু করেছে ইজরায়েল। শুক্রবার রাতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে তেল আভিভে অবস্থিত আইডিএফ সদর দফতরের কাছে আঘাত হানে। রবিবার, সরাসরি আঘাতের ফলে হাইফার কাছে একটি প্রধান তেল শোধনাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে ইরানের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইজরায়েল সরকার।