নয়াদিল্লি: নয় নয় করে শেষ পর্যন্ত ইরানে হামলা চালাল আমেরিকা। আর তাতেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রমাদ গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইরান পরিষ্কার জানিয়েছে, এর শেষ দেখে ছাড়বে তারা। শুধু তাই নয়, পশ্চিম এশিয়ায় থাকা আমেরিকার প্রত্যেক নাগরিক এবং সেনাকর্মী এখন তেহরানের নিশানায় বলে জানানো হয়েছে। (Iran Threatens US)
Fordow, Natanz, Isfahan-ইরানের এই তিনটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এর পরই, রবিবার ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার প্রত্যেকটি ঘাঁটির মানচিত্রও তুলে ধরা হয় চ্যানেলে। (US-Iran Conflict)
ইরানের সরকারি চ্যানেল থেকে বলা হয়, “ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে অপরাধ ঘটিয়েছে আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ায় ওদের কোনও স্থান নেই। আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বলব, আপনি শুরু করেছেন, শেষ করব আমরা।”
পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা অনেক। কাতারে রয়েছে Al Udeid Air Base, যা পশ্চিম এশিয়ায় সবচেয়ে বড় ঘাঁটি তাদের। বাহরিনে রয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনীর ঘাঁটি, ইরাকে Al Asad Air Base, Harir Air Base রয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ায় রয়েছে Al Tanf Garrison Military Base, কুয়েতে রয়েছে Ali al-Salem Air Base, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছে Al Dhafra Air Base. সেগুলির দিকেই ইঙ্গিত ইরানের।
শুধু তাই নয়, পশ্চিম এশিয়ায় বসবাসকারী আমেরিকার সাধারণ নাগরিক, সেনাকর্মীরাও নিশানার বাইরে নন বলেও জানানো হয়েছে ইরানের সরকারি চ্যানেলের তরফে। বলা হয়, “মিস্টার ট্রাম্প, যুদ্ধ তো সবে শুরু! এখন শান্তির কথা বলছেন? আপনাকে দেখে নেব। বুঝতে পারবেন বেপরোয়া হওয়ার ফল কী।” ইরানের এই হুমকিতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন কূটনীতিকরা।
ইরান বনাম ইজরায়ে সংঘাতে আমেরিকা যুক্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠবে বলে যেমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তেমনই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। ইরানকে হয় শান্তির পথে হাঁটতে হবে, নইলে তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানকে। নইলে অন্যত্রও হামলা চালানো হবে। কিন্তু মাথা নোয়াতে নারাজ ইরান।