নয়াদিল্লি: সমস্ত সামরিক অভিযান সেরে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধের পর ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে একই সময়ে শান্তির প্রস্তাব আসে বলে দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দাবি, ইরানের যে ভাষায় আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে, তাতে শত্রুপক্ষ যুদ্ধবিরতির রাস্তায় যেতে বাধ্য হয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প কার্যত ভিক্ষা চাইছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। (Iran-Israel Ceasefire)
কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটির উপর ইরান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই মুহূর্তে দুই দেশের যে সমস্ত সামরিক অভিযান চলছে, তা মিটিয়ে নিয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানান। আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও চুক্তি হয়নি বলে জানালেও, শত্রুতায় ইতি টানার বার্তা দেয় ইরানও। ইজরায়েল হামলা না চালালে, তাদের তরফেও আর আঘাত হানা হবে না বলে জানায়। তেল আভিভ থেকেও একই বার্তা আসে। (Donald Trump)
সেই নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণের মধ্য়েই ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, Iran National Network-এর দাবি, বাধ্য হয়েই যুদ্ধবিরতির রাস্তায় হেঁটেছে আমেরিকা। যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে চ্যানেলের সঞ্চালককে বলতে শোনা যায়, "আমেরিকার আগ্রাসনের জবাবে যে সফল ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান চালিয়েছে Islamic Revolutionary Guard Corps, দেশ রক্ষার্থে যেভাবে দেশের মানুষ অবিচল থেকেছেন, ঐক্যবদ্ধ থেকেছেনন, তাতে শত্রুপক্ষের ঘাড়ে যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দেওয়া হয়ছে।"
কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে যে আঘাত হানে ইরান, তার পরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও দাবি ওই টেলিভিশন চ্যানেলের। বলা হয়, "কাতারে আমেরিকার আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান আঘাত হানার পর, কার্যত ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান। গতকাল সন্ধেয় আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর মাত্র এক ঘণ্টা পর ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।" সাম্রাজ্যবাদী ইহুদিরা ইরানের উপর যে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, তাতে ইতি টানতে ট্রাম্পই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন বলে দাবি করা হয়েছে। CNN-ও তাদের এই দাবি তুলে ধরেছে।